সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন আইনী জটিলতা নিরসন করে এই নির্বাচনের পথ সুগম করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। উচ্চ আদালত সহ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন অফিসে দীর্ঘ চেষ্টার পর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ঘোষণা করেছে।
নির্বাচনের বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ইউসুফ উল রহমান জানান, আগামী ১৫ই জুন সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্দেশ পেয়েছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে।
কয়েক মাস পূর্বে চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ রনি গণমাধ্যমে অভিযোগ করে বলেছিলেন, নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বানচাল করতে উদ্দেশ্যমুলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার শিপন সরকার।
তিনি আরো বলেছিলেন, সোনারগাঁও পৌরসভার কিছু অংশে মেঘনা ইকোনোমিক জোনের মধ্যে ডুকে যাওয়ায় পৌরসভা একটি মামলা দায়ের করে। সে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন সেই অংশটিকে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাথে সংযুক্ত করে গেজেট করে। কিন্তু সেই অংশটি ৭নং ওয়ার্ডের কাছাকাছি হওয়ায় শিপন সরকার সেই অংশটি ১নং থেকে কেটে ৭নং ওয়ার্ডের সাথে সংযুক্ত করতে অনুরোধ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়েরের পর মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তফসিল থেকে বাদ পড়ে। সেজন্য আমি মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে পুণরায় পৌরসভার অংশটি ৭ নং ওয়ার্ডে সংযুক্ত করে নির্বাচন করার আবেদন জানাই।
সোহাগ রনি আরো জানান, সেই আবেদনের পরিপেক্ষিতে প্রশাসন মামলারকৃত অংশটি কেটে ১নং ওয়ার্ডের পরিবর্তে ৭নং ওয়ার্ডে সংযুক্ত করে পুনরায় একটি চিঠি দেন নির্বাচন কমিশন বরাবর। কিন্তু শিপন সরকার ফের ভোট বর্জন করতে হাইকোট থেকে মামলাটি পুণরায় অন্য কোর্টে হস্থান্তর করে পুণরায় নির্বাচনটি স্থগিত করে। ফলে মোগরাপাড়াবাসী পুণরায় নিজেদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
তিনি বলেন, শিপন সরকার যে অংশটি নিয়ে মামলা দায়ের করেন সে অংশটি যেহেতু সংশোধন করে প্রশাসন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সেখানে শিপন সরকার উদ্দেশ্যমুলকভাবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমার প্রশ্ন হলো প্রশাসন যেহেতু বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছে সেখানে ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমুলকভাবে মামলার পর মামলা দিয়ে মোগরাপাড়াবাসীর ভোটাধিকার হরণ করছে।
সেই সময় সোহাগ রনি বলেছিলেন, আমি মোগরাপাড়াবাসীর পক্ষ থেকে নির্বাচনটি যাতে শ্রীঘ্রই অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সকলের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে মোগরাপাড়াবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে ইনশাল্লাহ।
অবশেষে সোহাগ রনির দীর্ঘ প্রচেষ্টায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসী তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছেন। আগামী ১৫ জুন মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।