সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবত জাতীয়পার্টির সঙ্গে কাজ করছিলেন বিএনপির এই দুই নেতা। এবার আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে আসলেন তারা। যদিও এর আগে জাতীয়পার্টির এমপি সেলিম ওসমানকে সংবর্ধনা দিতে জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানারে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল করে যোগদান করেছিলেন। এরা হলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও বন্দর থানা বিএনপির সদস্য সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া।
জানাগেছে, ৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ফতুল্লার বাংলা ভবনে জরুরী কর্মী সভার আয়োজন করে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেছেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের এমপি একেএম শামীম ওসমান।
এই কর্মী সভার প্রায় সকল বক্তাদের বক্তব্য ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরাও পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছেন বারবার। এই কর্মী সভায় বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগদান করেছেন বিএনপির নেতা হান্নান সরকার ও সুলতান আহমেদ ভূইয়া।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, সোনারগাঁও থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ। এ কর্মী সভায় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমাবেশে বাধা দেয় সুলতান আহমেদ। সমাবেশটি প্রথমে সিরাজদৌল্লা ক্লাব মাঠে হওয়ার কথা থাকলেও সুলতান আহমেদ প্যান্ডল ভাংচুর করে দিলে অন্যত্র সমাবেশটি করা হয়। ওই নির্বাচনে হান্নান সরকার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেলিম ওসমানকে এমপি নির্বাচিত করতে যত টাকা লাগে তিনি খরচ করবে। কিন্তু বিএনপির পদ বহন করলেও তারা নিয়মিত জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে যোগদান করছেন।