সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যারচর গ্রামকে বৈঠক করে অবাঞ্চিত ও বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে ওই ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের সমাজপতিরা। মধ্যারচর গ্রামের লোকদের দ্বারা এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, স্কুলগামী মেয়েদেরকে উত্যক্ত করাসহ নানা অপকর্মের দ্বারা অতিষ্ট হয়ে ১৩ গ্রামের লোকজন ৮ মে রবিবার রাতে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কালাপাহাড়িয়া ইউনয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্জুর হোসেন মেম্বার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক তালুকদার, আশকর আলী মাদবর, আবুল বাশার, হাফেজ হান্নান, আয়নাল হক, জিয়া প্রধান, রোকনউদ্দিন মেম্বার, করিম মেম্বার, মনির মেম্বার, আলম মেম্বার, কামাল মাষ্টার, রাজ্জাক মোল্লা, মফিজ উদ্দিন মেম্বার, তোফাজ্জল মেম্বার, কাশেম মেম্বার, জজ মিয়া মেম্বার, সাবমিয়া মেম্বার, সোহেল মেম্বার, জয়াল এবং সাত্তার।
এর আগে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঈদের আগের দিন ও ঈদের পরের দিন মধ্যারচর বনাম ঝাউকান্দী গ্রামের মধ্যে ঝগড়া হয়। এই ঝগড়া মীমাংসা করতে এগিয়ে আসেন কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও জয়নাল, সাত্তার এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নেতৃবৃন্দ।
তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার মধ্যারচর ও ঝাউকান্দী গ্রামের দুই পক্ষকে নিয়ে কদমিরচর গ্রামে প্রফেসর নুরুজ্জামান এর বাড়িতে শালিসে বসেন উল্লেখিত সকল নেতৃবৃন্দ। সকল বিচার বিশ্লেষণ করে জুড়িবোর্ড রায় ঘোষণা করলে মধ্যারচর এর আজিজ, হকসাব, জনি, জসু ও জলিল গংরা বিচারকদের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে তারা বিচারকে বয়কট করে ঐ স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে ওই দিন রাতে তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী সভা ডেকে মধ্যারচর গ্রামকে অবাঞ্ছিত ও বয়কটের ঘোষণা দেন ও মধ্যারচর রাস্তায় বাঁশ দিয়ে ব্যরিকেড বসিয়ে দেয়। তারপর মধ্যারচর খেয়াঘাটের পরিবর্তে এখন কালাপাহাড়িয়াা ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ কদমিরচর ও পূর্বকান্দী বাজার হয়ে দয়াকান্দা ঘাট দিয়ে চলাচল শুরু করেন। কালাপাহাড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই রাশেদুল বারী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেণ বলে জানার পর তার বক্তব্য নেয়ার জন্য তার ব্যবহৃত সরকারী ফোন নম্বরে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ঘটে যেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।