সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু। ১২ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুফুর রহমানের হাত থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী নাজমুল ইসলাম লিটু বলেন, দীর্ঘদিন মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন সহ সকল অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমি মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করেছি। আমার সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করেছি পাশে থাকতে। ১৫ জুন এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। ইউনিয়নবাসীর সেবক হিসেবে কাজ করার মনোভাসনা দিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে এবং মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর পেছনে কাজী বংশের ভুমিকা তুলে ধরে বলেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তাদের সফলতা ব্যর্থতা বিবেচনা করলে জনগণ আমার পাশে থাকবে বলে বিশ্বাস করি। যারা নির্বাচন করবেন তারাই সবাইকে যোগ্য মনে করি, কিন্তু আমার বংশের পরিচয়, আমার পূর্বপুরুষ, আমার দাদা কাজী ইমান আলী মেম্বার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমার দাদার মেজো ভাই কাজী তমিজ উদ্দীন আহমেদ কালাচাঁন চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমার জেঠা কাজী রফিকুল ইসলাম মিয়া চেয়ারম্যান উনিও জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হোন এবং জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। কাজী মঞ্জুর কাদের মেম্বার, কাজী সদর আলী মেম্বার উনিও জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় যেখানে অবস্থিত এটা আমার মেজো দাদা কাজী তমিজ উদ্দীন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে কাইকারটেক যে রোডটি ঐতিহাসিক রোড। এক সময় কাচা মাটি ও নিচু ছিলো, এটা কাজী রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান এখানে ইট বসিয়েছিলেন এবং আমার পরিবারের প্রচেষ্টায় তৎকালীন সময়ে নবাবদের কাছ থেকে জায়গা আবেদন করে কাইকারটেক নবাব হাবিবুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। মোগরাপাড়া ইউনিয়নের প্রায় ৭০ ভাগ উন্নয়ন আমার পূর্বপুরুষ ও পরিবারের অবদান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু শত বছর ধরে এই ইউনিয়নবাসীর সেবায় কাজ করেছি, করে যাচ্ছি, সেই লক্ষ্যে বংশের পরমপরায় আমি স্বতন্ত্র হিসেবে মানুষের সেবা করতে প্রার্থী হয়েছি।
জাতীয়পার্টির রাজনীতি করেও কেন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জাতীয়পার্টি এই নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি এবং ফলে কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও বাধা নেই। যে কারনে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। তবে আমার দল নির্বাচন করলে আমি আশাবাদী ছিলাম লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করতাম, কারন যেহেতু আমার দাদা কাজী কালাচাঁন লাঙ্গল মার্কায় নির্বাচন করেছিলেন। সবকিছুর মালিক মহান আল্লাহ, আল্লাহর উপর ভরসা নিয়ে জনগণের উপর আস্থা রেখে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।