সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে আলেচিত নাম হয়ে ওঠেছেন হাজী শাহ মোহাম্মদ সোহাগ রনি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মত স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া দলটির প্রতীক নৌকা মার্কায় মনোনিত হয়ে রীতিমত সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তরুণ প্রজন্মের এই রাজনীতিক। যেখানে তিনি মোগরাপাড়া ইউনিয়নে ৪০ বছরের বিগত রাজনীতি ও একক নেতৃত্বের রেওয়াজ ভেঙ্গে দিয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের এই নেতা আছেন ধর্ম-কর্ম, মানবসেবা ও রাজনীতিতে সমান্তরাল। যা তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিকদের মাঝে সচারাচর দেখা যায়না। নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে মনোনিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের ছাত্র ও যুব সমাজের মাঝে তিনি হয়ে ওঠেছেন আইডল ও ক্রাস।
আগামী ১৫ জুন সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সোহাগ রনি। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে আরিফ মাসুদ বাবু বিদ্রোহী প্রার্থী হোন। তার ভাতিজা আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, যিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদেও রয়েছেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের তালিকায় সোহাগ রনির নাম বাদ দিয়ে বাবুর নাম এককভাবে প্রস্তাব করা হয়েছিলো। কিন্তু নিজ যোগ্যতায় মনোনয়ন পান সোহাগ রনি।
স্থানীয়রা মনে করছেন- স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক চালু হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের কোনো ইউনিয়নেই সোহাগ রনির মত কম বয়সী কেউ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীক পায়নি। একই সঙ্গে উপজেলার মুল কেন্দ্রস্থল মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মত ইউনিয়নে যখন সোহাগ রনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তখন ইতিহাসের রেকর্ডের পাতায় মোটা দাগেই লেখা থাকবে সোহাগ রনির নাম- এমনটা মনে করছেন স্থানীয়রা।
শুধু নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবেই নয় হাজী সোহাগ রনি সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে আলোচিত হয়ে ওঠার আরো নানা কারনও রয়েছে। সোনারগাঁয়ের কোনো নেতাকর্মী জেলা পর্যায়ের রাজনীতিতে যখন সম্পৃক্ত হতো কম সংখ্যক নেতাকর্মী, ঠিক তখনি জেলা পর্যায়েও রাজনীতি শুরু করেন হাজী সোহাগ রনি। সক্রিয়তার কারনে জেলা পর্যায়ের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। কঠোর পরিশ্রম ও সাহসী যুবক এখন সোনারগাঁয়ের আলোচিত নেতা।
ধর্মভিরু হাজী সোহাগ রনি ধর্ম-কর্ম পালনে স্বচেষ্ট রয়েছেন সব সময়। কোনো ধরণের আসক্তিও নেই তার মাঝে। একই সঙ্গে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালানোর পাশাপাশি রাজনীতি ও রাজনীতির জায়গায় করে আসছেন মানবসেবা। মহামারি করোনাকালে যখন গরীব অসহায় দুঃস্থ মানুষের দিক থেকে যখন অনেকেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন তখন হাজী সোহাগ রনি ত্রাণকর্তা হয়ে গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। কয়েক বছর ধরে প্রতিটিা ঈদে মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে সেবা করে আসছেন। করোনাকালে দিনে রাতে দুঃস্থ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন নিজ হাতে। নিজে খাদ্যসামগ্রীর বস্তা কাধে নিয়ে পৌছে দিয়েছেন গরীব মানুষের ঘরে ঘরে।
শুধু তাই নয়, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে বছর খানিক পূর্বেই। সেইমতে নির্বাচন আরো আগেই হওয়ার কথা। কিন্তু সীমানা সংক্রান্ত অজুহাতের ছলে মামলা ঠুকে দেয় একটি চক্র। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে একটি পক্ষ নির্বাচন আটকে দেয় মামলা জটিলতায় ফেলে। ফলে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসী।
এমন পরিস্থিতিতে মোগরাপাড়া ইউনিয়নবাসী যেনো ভোট দিতে পারে এবং ইউনিয়নবাসীর ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আইনি লড়াইয়ে নামেন সাহসী এই যুবক। নির্বাচনের লক্ষ্যে কখনও গিয়েছেন উচ্চ আদালতে, আবার কখনও প্রধান নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা নির্বাচন অফিসে। সোহাগ রনির দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ভোটাধিকার ফিরে পায় ইউনিয়নবাসী, যা আগামী ১৫ জুন প্রয়োগ করবেন। এসব কারনে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে এখন আলোচিত নাম হাজী সোহাগ রনি। এই সোহাগ রনিই হয়ে ওঠেছেন এখন ছাত্র ও যুব সমাজের ক্রাস। সোহাগ রনিই হতে পারে সোনারগাঁয়ের ভবিষৎ যুব ছাত্র সমাজের আইডল। যে যুব নেতার মাঝে রয়েছে ধর্ম-কর্ম, মানবসেবা, রাজনীতি ও পিতা-মাতার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা।