সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও চাঁদা না দেয়ায় মারধরের অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেছেন সিএনজি পরিবহন শ্রমিকেরা।
১ জুন বুধবার ১২টার দিকে উপজেলার কাইকারটেক এলাকায় সিএনজি চালকরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। অরোধের ফলে ওই সড়কে প্রায় এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে বন্দরের নবীগঞ্জ থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের দূর্ভোগ পেহাতে হয়েছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ- বন্দরের নবীগঞ্জ থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় প্রায় ৩ শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করে। এ সিএনজি অটোরিক্সা থেকে রফিকুল ইসলাম নান্নু নিয়মিতভাবে চাঁদা আদায় করে থাকে। তাকে চাঁদা না দিলেই সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের মারধরের শিকার হতে হয়।
সিএনজি চালক কাউসার মিয়া নামে একজন অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে তার লোক দিয়ে চাঁদা উত্তোলন করে থাকে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলেই কপালে জুটে মারধর। এছাড়াও তিনি স্ব- শরীরে এসে অকথ্য ভাষায় মারধর করে। লাঠি দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে।
সিএনজি চালক সুমন বলেন, নান্নুর অত্যাচারে এ রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার অত্যাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকালও এক সিএনজি চালককে মারধর করেছে চাঁদা না দেওয়ায়।
সিএনজি চালক হুমায়ুন কবির জানান, মোগারাপাড়া চৌরাস্তায় তেমন কোনো স্টান্ড নাই। যা আছে সেগুলো নেতারা দখল করে রেখেছে। রাস্তার মধ্যে নান্নুর শ্বশুরের মার্কেটের সামনে রাখলে তাকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে তিনি গাড়ি ভাংচুর করে। ড্রাইভারদের মারধর করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে দাবি দাবি করেন- সিএনজি চালকদের চাঁদা দাবির অভিযোগ মিথ্যা। মুলত রাস্তায় গাড়ি রাখার কারনে অনেক গাড়ি চলাচল করতে পারে না। ফলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাস্তায় গাড়ি রাখতে বাধা দেওয়ায় তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য একটি মহল সিএনজি চালকদের দিয়ে সড়ক অবরোধের নাটক সাঁজিয়েছে।