সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ৮নং ঘারমোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক আমেনা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ৮ জন সদস্য। বিদ্যালয়ের সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ব্যাংক থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, দায়িত্বহীনতা ও অনিয়মসহ ১৭টি অভিযোগ তুলে ওই অভিযোগটি দাখিল করা হয়।
অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়- প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুন ২০১৩ সালে এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই অব্যাহতভাবে দুনীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দায়িত্ব পালনে অবহেলা সহ বিদ্যালয়ের সরকারি-বেসরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। কমিটির পক্ষ থেকে তাকে একাধিকবার সতর্ক করার পরও কমিটির নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে তিনি মনগড়াভাবেই তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও অভিযোগ করা হয়- নিয়ম অনুুযায়ী এক মাস অন্তর অন্তর ম্যানেজিং কমিটির সভা আহবানের কথা থাকলেও নিজ উদ্যোগে তিনি সভা আহবান করেন না। কমিটির সদস্যরা কখনো কখনো সভা আহবান করলেও নানা অজুুহাতে তিনি সভায় অনুপুস্থিত থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বছরের পহেলা জানুয়ারী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ করা হলেও আমেনা খাতুন কেবল কতিপয় শিক্ষককে নিয়েই বই বিতরণ করে থাকেন। এ কারণে ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ করা হয়- বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়ের হিসাব তিনি কমিটির নিকট কখনো উপস্থাপন করেন না। সম্প্রতি তিনি বিদ্যালয়ের জন্য আসা ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের স্লিপ বরাদ্ধের আশি হাজার টাকা এবং বিদ্যালয়ের পুুরাতন দো-চালা ঘর বিক্রিরব ত্রিশ হাজার টাকা কোন প্রকার রেজুুলেশন না করে ভাউচার ছাড়াই খরচ দেখিয়ে এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বুলবুল আহমেদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
এ ছাড়াও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয় সেই টাকাও আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের বিদু্যুৎ বিল বাবদ ১৫ হাজার টাকারও কোন হিসাব অদ্যাবধি দেননি তিনি। এ প্রতিষ্ঠানে যোগদানের আগেও ২০১৩ সালে চুনাভূড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক থাকাকালে অর্থ কেলেংকারীসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগ সদস্যরা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃৃপক্ষের আশু কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান ওই অভিযোগ পত্রে।
তবে এত্তসব অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও এই রিপোর্ট লেখার সময় তাকে পাওয়া যায়নি।