সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আলোচনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশার সখ্যতা প্রকাশ্য হয়ে ওঠায় মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনে সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ আলোচনায় থাকলেও সেই সম্ভাবনা ফিকে হয়ে গেছে। যেখানে মনে করা হতো সভাপতি আবুল কালামকে সরিয়ে দেয়া হলে তার ছেলেকে আশাকেই মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি পদে বহাল রাখতে পারে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থার কারনে দলীয় কর্মকান্ড কিংবা দলীয় কর্মসূচিতে থাকতেই পারছেন না মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। গত ১৬ জানুয়ারি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর এটিএম কামালকে সাধারণ সম্পাদক সহ বিএনপি থেকে বহিস্কারের পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুস সবুর খান সেন্টু। আবুল কালামের অনুপুস্থিতিতে দলীয় কর্মসূচিগুলোতে সভাপতিত্ব করে আসছেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভেকেট জাকির হোসেন।
মুলত সভাপতি আবুল কালামের নিষ্ক্রিয়তা ও এটিএম কামালের বহিষ্কারের পর মহানগর বিএনপির দলীয় কর্মসূচিগুলো পালনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছেন অপর সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। সান নারায়ণগঞ্জকে নেতাকর্মীরা জানান এক সময় মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান পৃথকভাবে দলের কর্মসূচি পালন করলেও তাদের বিরোধীতার কারনে তিনি এখন মুলধারার সঙ্গেই কর্মসূচি পালন করে আসছেন। যেখানে সভাপতির অনুপুস্থিতিতে সাখাওয়াত হোসেন খানকে সভাপতিত্ব করার কথা সেখানে জাকির হোসেন করছেণ সভাপতিত্ব! সাখাওয়াত বিষয়টি মেনে নিলেও সেটা খোদ দলের শৃঙ্খলা ও সংগঠন বিরোধী বলে নেতাকর্মীরা জানান।
এদিকে কে কে হতে যাচ্ছেন মহানগর বিএনপির পরবর্তী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এমন আলোচনায় শুরুতেই আবুল কালামকে এবার সভাপতি পদে বহাল না রাখার সম্ভাবনাই বেশি। যেখানে সেক্রেটারি পদে আলোচনায় ছিলেন কালামের ছেলে কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগ নেত্রী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে তার সখ্যতা প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। নির্বাচিত হয়ে আইভীর পা ছুয়ে সালাম করে ফুল দিয়ে আইভীকে শুভেচ্ছা জানান আশা। এ ছাড়াও বন্দরে একটি অনুষ্ঠানে লোকজন নিয়ে আইভীর অনুষ্ঠানে যোগদানও করেছেন তিনি। যদিও নির্বাচনের পুর্বেই এলাকায় গুঞ্জন ছিলো আইভী পন্থীরা আশার পক্ষে নির্বাচনে নানাভাবে কাজ করছেন। সেইসব বিষয়গুলো নিয়ে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুযোেগটি আশার জন্য হাতছাড়াই দেখছেন নেতাকর্মীরা।