সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির রাজপথের নেতাকর্মীদের একমাত্র ভরসার নাম আজহারুল ইসলাম মান্নান। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের দুঃসময়ের অভিভাবক হিসেবে আভির্ভূত হোন মান্নান। যারা ২০০১ সাল থেকে ৫টি বছর বিএনপির আমলে দলের সুবিধা ভোগ করেছেন কিংবা লাভবান হয়েছেন তারাই বিএনপি ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাঁড়াননি। সেই থেকে হামলা মামলার শিকার নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আসছেন মান্নান। সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের যখন ভরসার নাম মান্নান, ঠিক তখনি সোনারগাঁও থেকে মান্নানকে ঠেকাতে জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে বসে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
নেতাকর্মীর জানিয়েছেন, এমন ষড়যন্ত্র করে সোনারগাঁয়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অভিভাবক মান্নানকে ঠেকানো যাবে না। কারন ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেও সোনারগাঁও থেকে মান্নানকে ঠেকানোর চেষ্টায় নেমেছিলেন সোনারগাঁয়ের কিছু উচ্ছিষ্ট নেতাকর্মীরা। কিন্তু শেষতক সেটা পারেনি। তারা বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনকে সোনারগাঁয়ে নিয়ে শোডাউন করেছিলেন। রাজনৈতিক নিস্ক্রিয়তার কারনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম যখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মন থেকে ওঠে যায়, তখন বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন মান্নান।
ওই সময় মান্নানকে ঠেকাতে গিয়াসউদ্দীনকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে মাঠে নামেন বেশকজন নিক্ষিপ্ত নেতাকর্মী। যাদের সোনারগাঁয়ে তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। সেইসব নেতাকর্মীরা আবারো স্বপ্ন দেখছেন গিয়াসউদ্দীনকে সোনারগাঁয়ে নিয়ে মান্নানকে ঠেকানোর। এবার জাতীয় নির্বাচন নয়, এবার জেলা বিএনপির নেতৃত্বে গিয়াসকে দেখার স্বপ্ন দেখছেন তারা। গিয়াস জেলা বিএনপির নেতৃত্ব পেলে মান্নানকে সোনারগাঁও থেকে নেতৃত্বশূণ্য করা হবে। যে কারনে সোনারগাঁয়ে বেশকজন মান্নানবিরোধী নেতাকর্মীরা গিয়াসকে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব নেয়ার চেষ্টা করার তাগাদ দিচ্ছেন।
এমন ষড়যন্ত্র এখন সিদ্ধিরগঞ্জে বসে হচ্ছে বলে নেতাকর্মীরা জানান। মান্নানবিরোধীরা এবার স্বপ্ন দেখছেন গিয়াস জেলা বিএনপির নেতৃত্ব পেলেই সোনারগাঁয়ের নেতৃত্ব থেকে বিতারিত হবেন মান্নান এবং তাদেরকে গিয়াস নেতৃত্বে বসিয়ে দিবেন। যদিও মাস খানিক পূর্বে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন এক সভায় গিয়াসউদ্দীনের সোনারগাঁয়ে প্রবেশ ও যারা গিয়াসকে সোনারগাঁয়ে ঢুকানোর চেষ্টা করছেন তাদেরকে নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন।