সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক ঝুট ব্যবসায়ীকে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে হত্যা করে মাাটি চাপা দিয়েছে হত্যাকারীরা। এই ঘটনায় সম্পৃক্ত একজনকে আটক করা হলে তার তথ্যমতে একটি গোডাউনের ভিতরের গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিখোঁজের ১০দিন পর ১০ এপ্রিল বুধবার সকালে ফতুল্লার কাশীপুর ভোলাইল এলাকায় ঝুটের গোডাউন থেকে মাটি খুঁড়ে সেলিম চৌধুরীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
জানাগেছে, ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকার ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সেলিম চৌধুরীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ১লক্ষ্য টাকা দাবী করছিল অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা। এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় তার স্ত্রী রোহানা আক্তার রেখা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ অভিযোগে জানা যায়, ফতুল্লার বক্তাবলী কানাইনগর এলাকার মো. সেলিম চৌধুরী ঝুট ব্যবসা করে আসছে। প্রতিদিনের ন্যায় তিনি গত ৩১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় সেলিম তার বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি আর বাসায় ফিরে যাননি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন থানাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করেন।
এরপরও তার সন্ধ্যান মিলছিল না। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা লোক তার স্ত্রীর ফোনে ফোন দিয়ে গত ৬ এপ্রিল মুক্তিপণ হিসেবে ১লক্ষ্য টাকা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত টাকা না পেয়ে নানা হুমকি দেয় অপহরণকারীরা। এ ব্যাপারে অপহৃত সেলিমের স্ত্রী রোহানা আক্তার রেখা ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ সেলিম চৌধুরীর সাথে ব্যবসায়ী পার্টনাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী কাশিপুরের ভোলাইল এলাকার মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনের মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দি সেলিম চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লাশ উদ্ধার শেষে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই মামুন আল আবেদ জানান, জিডি ও অভিযোগের সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে সেলিমের নিখোঁজের সময়কার অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে ভোলাইল এলাকায় মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে কর্মচারী ফয়সালকে আটক করা হয়। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে মাটি খুঁড়ে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। ৩১ মার্চ রাতেই সেলিমকে হত্যা করে লাশ মাটি খুঁড়ে পুতে রাখা হয় জানিয়েছে আটক ফয়সাল। সেলিম ওইদিন তার পাওনা টাকার জন্য মোহাম্মদ আলীর গোডাউনে এসেছিলেন এবং ওইদিনই তাকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়।