সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের জাতীয় পার্টির দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর কর্মময় সংগ্রামী জীবনে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন আজীবন। দূর্ণীতি, দুঃশাসন আর জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই করতে গিয়ে অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন।
এমপি খোকা আরো বলেন, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। তিনি ছিলেন জাতীয় ঐক্য, প্রেরণা ও স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক, বাঙালি জাতির স্বপ্নের রূপকার। তাঁর ইস্পাত কঠিন নেতৃত্ব বাঙালি জাতিকে দিয়েছে অধিকার আদায়ের প্রেরণা। তাঁরই নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে স্বাধীন হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি।
২০ আগস্ট শনিবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্যের কার্যালয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুব সংহতির এক বর্ধিত সভা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা।
এর আগে বর্ধিত সভায় কাজী নাজমুল ইসলাম লিটুর সভাপতিত্বে ও সেকান্দার আলী মাস্টারের সঞ্চালনায় এই বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। একই সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এমপি খোকা আরো বলেন, ৭৫’এ স্ব পরিবারে হত্যার পর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে ভয় পেতো। পল্লীবন্ধু এরশাদই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। তিনিই প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন জনগণের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য উপজেলা পদ্ধতি চালু করেছিলেন। ঘুমন্ত উন্নয়নকে জাগ্রত করেছিলেন।
জাপার এই নেতা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ কোনো দলের নেতা নয়, সমগ্র জাতির নেতা। কিন্তু কোন কোন দল বঙ্গবন্ধুকে নিজস্ব সম্পত্তি মনে করে ব্র্যাকেটবন্দী করার অপচেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধুকে ব্র্যাকেটবন্দী করা হলে তা হবে পুরো বাঙ্গালী জাতির জন্য কলঙ্কজনক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছা ও বাসনা ছিল। তাই সরকারে প্রতি উদ্বাত্ত আহবান- দ্রব্যমূল্য উর্ধগতি কমিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। আমরা এই দেশে হানাহানি মারামারি হত্যাযজ্ঞ চাইনা। আমরা এ দেশকে সুখী সমৃদ্ধিশালী একটি রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই।
সভা শেষে কাজী নাজমুল ইসলাম লিটুকে আহ্বায়ক ও সেকান্দার আলী মাস্টারকে সদস্য সচিব করে ৬২ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় যুব সংহতিন আহ্বায়ক রিপন ভাওয়াল ও বিশেষ অতিথি জেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বাবু, জাবেদ রায়হান জয়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুক্তি, জেলা জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক ফজলুল হক মাস্টার, জাতীয় পার্টির নেতা হারুন অর রশিদ মোল্লা, ওমর ফারুক টিটু, মাঈনুল ইসলাম মামুন, মোঃ মোফাজ্জল হোসেন সুমন, মানিক মিয়া মেম্বার, এজাজ মিয়া মেম্বার, মোঃ সাকিল আহম্মেদ, ওহীদুজ্জামান ওহীদ, কবির মোল্লা, আশরাফুল হক, মোঃ আরিফুর রহমান, মোঃ সোহেল ভুইয়া, রুহুল আমিন মেম্বার, আব্দুর রউফ সবুজ, সোহেল মুন্সি, আল আমিন, মোঃ রাশেদ, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ মতিউর রহমান, মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মোঃ শাহ আলম, ইমরান হোসেন অপু, মোঃ সালমান মিয়া, আবু সুফিয়ান সোহাগ, শফিকুল ইসলাম রাজিব, মোঃ কাউসার, মোঃ সাইদুল হক সহ শত শত নেতাকর্মী।
সভায় সকল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। কমিটি ঘোষণার পর নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ উপস্থিত শীর্ষ নেতাদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় সোনারগাঁবাসী ও সোনারগাঁয়ের উন্নয়নে ভুমিকা রাখতে কমিটির নেতৃবৃন্দকে আহ্বান জানান।