সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলায় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাংগঠনিক এবং কর্মীবান্ধব নেতা ও দক্ষ রাজনৈতিক হিসেবে নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান এমনই একজন নেতা যিনি রাস্তা দিয়ে হেটে গেলেও তার পিছনে শত শত হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেন। তিনি কোনো ঘরোয়া সভা ডাকলে সেই সভায় নেতাকর্মীদের সমাগমে জনসভায় পরিণত হয়ে যায়।
অনেকেই বলেন শামীম ওসমান রাজপথে নামলেই লাখো জনতা মাঠে নামেন। কেউ কেউ মনে করেন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মধ্যে যেসব রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা রয়েছেন তাদের মধ্যে একমাত্র সবচেয়ে বেশি দক্ষ সাংগঠনিক নেতা হিসেবে মনে করা হয়, যা তিনি ২৭ শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জে মহাসমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণ করলেন। এই দিন তার সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি থানা/উপজেলা, পৌরসভা ইউনিয়ন, এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিলে নারায়ণগঞ্জ নগরী জনস্রোতে পরিণত করেছেন। বিভিন্ন থানা/উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ নগরী জনস্রোতে পরিপূর্ণ করে তুলে।
সমাবেশের শুরুর আগেই দুপুর থেকে দেখা যায় কখনো ঢাকা লিংক রোড থেকে মিছিলে মিছিলে আসছে, কখনো নবীগঞ্জ খানপুর দিয়ে মিছিল আসছে। মিছিলে মিছিলে নগরী জনস্রোতে পরিনত হয়। চারদিক থেকে বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন সংগঠন নেতৃবৃন্দ সহ কেউ কেউ নিজ নিজ ব্যানারে শোডাউন করে সমাবেশে যোগদান করেন।।২৭ শে আগস্ট এর জনস্রোত ও জনগণের নেতাকর্মীদের সমাগম দেখে অনেকে মনে করেন শামীম ওসমানের অতীতের সকল সমাবেশের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এই সমাবেশের জনস্রোত। শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয় শামীম ওসমান নামটি সারা দেশব্যাপী পরিচিত একটা নাম। একইসঙ্গে তার নামটি দেশ-বিদেশেও রাজনৈতিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জের ২নং রেলগেট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়। পুরো নগরী জুড়ে ছিলো নেতাকর্মী আর নেতাকর্মী। স্বাধীনতা বিরাধী, জঙ্গীবাদ ও দেশ ধ্বংসের প্রতিবাদে আয়োজিত ‘জেগেছে নারায়ণগঞ্জ, জাগবে বাংলাদেশ’ শিরোনামে আয়োজিত ঐ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল। দুপুর ২টা থেকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ শহর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে যোগ দেন। আনুমানিক প্রায় দেড় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগমে পুরো জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।