সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রধান সেনানায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানীর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আনন্দধামের সহযোগিতায় ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহসভাপতি প্রকৌশলী মসিউর রহমান আপেল।
অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল ইব্রাহিম বীর প্রতিক সহ সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থেকে জেনারেল ওসমানীর বর্নাঢ্য জীবন নিয়ে আলোচনা করেন । এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু, অতিরিক্ত চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি, পরিচালক খোকন গাজী, মোঃ আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, পহেলা সেপ্টেম্বর, ২০২২, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনানায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর একশত চারতম জন্মবার্ষিকী। এই শুভক্ষনে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি বাংলা মায়ের এই বিপ্লবী সন্তানকে যার অসাধারণ মেধা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম, দূরদর্শী সমরকৌশলে শক্তিশালী পাকিস্তানি শত্রুবাহিনী পরাস্ত হয়। যার ফলশ্রুতিতে আমাদের মাতৃভূমি আজ স্বাধীন।
যুদ্ধবিদ্যার সুনিপুণ কারিগর অসাধারণ সাহসী, তেজস্বী ও নির্ভীক সেনানায়ক জেনারেল ওসমানীর সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে দ্রুতগতিতে মুক্তিযুদ্ধ বেগবান হয়েছিলো। তিনি বাংলাদেশকে এগারোটা সেক্টরে ভাগ করে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করেন। কয়েক মাসের মধ্যেই নবগঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট পাকিস্তানি বাহিনী নাস্তানাবুদ হতে থাকে, বিভিন্ন যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে থাকে এবং ৯ মাসেরও কম সময়ে আমাদের বিস্ময়কর বিজয় অর্জিত হয়।
তিনি বলেন, আমি মনে করি জেনারেল ওসমানীর বিপ্লবী জীবন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে দ্বীপ শিখা হয়ে পথ দেখাবে।
৭১ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে জেনারেল ওসমানী দেশ প্রেমের অনন্যসাধারণ উদাহরণ হয়ে থাকবে। পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের কাছে জেনারেল ওসমানীর জীবন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।