সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মুক্তির যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে সেই আন্দোলনের সেই কাফেলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। একটি চক্র প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে বেড়ায় বিএনপি নাকি বিশৃঙ্খলা করতে পারে, বিএনপি কখনই বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা করে না। বিএনপি বাংলাদেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনে। বিএনপি বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করে। বিএনপি বাংলাদেশের মানুষকে খাদ্য উপহার দেয়, বিএনপি সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যুবদল কর্মী শাওন রাজা, মুন্সীগঞ্জে শাওন ও ভোলায় আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা ও আহত করা এবং জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ওেই সমাবেশে বিএনপি নেতা জাহিদ হাসান রোজেল এসব কথা বলেন।
এদিকে জেলা বিএনপির সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, আব্দুল হাই রাজু, জেলা বিএনপির মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার ও তার মন্ত্রীরা আগুন নিয়ে খেলছেন। এভাবে খেলতে থাকলে সরকারের পরিণতি শুভকর হবে না। প্রধানমন্ত্রীর একটি ‘আয়নাঘর’ আছে। যেটা এখন মানুষের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়নাঘরে অনেকে আটকে থেকে ফোন নম্বর দিচ্ছেন। কিন্তু দেশের গণমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারছে না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা ভয়ে। আপনাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা যখন বলবেন বাম দিক থেকে আসবেন, তখন আমাদের বুঝতে হবে তিনি ডান দিক থেকে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ঘেরাও করতে আসলে চা খাওয়াবেন। অথচ পরদিন ভোলাতে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তার উল্টো হবে। তিনি হলেন, উল্টো কথার জননী, উল্টো কথার মা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, জুয়েল আহমেদ, মোশাররফ হোসেন, রুহুল আমিন শিকদার, বাছির উদ্দিন বাচ্চু, আশরাফুল হক রিপন, গোলজার হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম টিটু, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া প্রমুখ।