সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেছেন, দলের ভিতরে হাইব্রিড কাউয়ায় ভরে গেছে। তারা এখন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামের স্লোগান দেয় না, তারা তাদের নেতার নামে স্লোগান দেয়। তারা জানে না আজকে প্রধানমন্ত্রী আছে বলে আমরা আছি। প্রধানমন্ত্রী যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে আমাদের কিন্তু কারোই ক্ষমতা থাকবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রীকে ছাড়া আমাদের সকলের ব্যালেন্স জিরো। সুতরাং ভাইয়ের নামে স্লোগান বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের স্লোগান দেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নামের স্লোগান দেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৬তম জম্মদিন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটায় নগরীর ২নং রেলগেইট এলাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ। পরে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জম্মদিন উদযাপন করা হয়।
আবদুল হাই আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু করন্যা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাসহ জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারকাজ সম্পন্ন করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাত ধরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছে। সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ছেয়ে গেছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী জামাত-বিএনপি দোসররা প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্নভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু এ সকল অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে সকল বাধা অতিক্রম করে দুর্বার গতিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আমরা সকলেই সেই উন্নয়নের সহযোগী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর পাশে থেকে কাজ করব। ইনশাল্লাহ আগামী ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই’র সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক এমএ রাসেলের সঞ্চালনায় এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নারী সাংসদ এড. হোসনে আরা বেগম বাবলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, আবু সুফিয়ান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এড. নুরুল হুদা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী, মহিলা সম্পাদিকা মরিয়ম কল্পনা, সদস্য হাজী আমজাদ হোসেন, খন্দকার আবুল বাশার টুকু, শামসুজ্জামান ভাষানী, মো. শহিদুল্লাহ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি নাাজি উদ্দিন আহমেদ, মহানগরর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, সোনাকান্দা ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক মো. শাহজাহান, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন, কার্যকরী সভাপতি এড. স্বপন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক পরেশ চৌধুরীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।