সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
চলতি বছরের ১৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল। গোলাম ফারুক খোকনকে আহ্বায়ক ও মশিউর রহমান রনিকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় কবির হোসেনকে। কমিটি গঠনের পর বিএনপির সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে আসছে জেলা যুবদল। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবদলের কর্মসূচিগুলোতেও অংশগ্রহণ করে রাজধানীতে শোডাউন করে যাচ্ছে জেলা যুবদল। খোকন ও রনির প্রতি আস্থা রেখে জেলা যুবদলের বিগত কমিটির নেতারাও রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
নেতাকর্মীদের সূত্রে, বিগত জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন গোলাম ফারুক খোকন ও মশিউর রহমান রনি ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। কবির হোসেন ছিলেন আড়াইহাজার যুবদলের সভাপতি। খোকন ও রনির নেতৃত্বে জেলা যুবদলের জোরালো রাজপথে ভুমিকা রাখার পেছনে কারন রয়েছে তা হলো কমিটি গঠন। অনেকেই জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পেতে মরিয়া। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন থানা/ উপজেলা যুবদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশি। অনেকেই বর্তমান নেতৃত্ব ধরে রাখার নিমিত্তে খোকন ও রনির নেতৃত্বে রাজপথে সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন।
এ ছাড়াও অনেক নেতাকর্মীরা জানান, বিগত কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু ও গোলাম ফারুক খোকন বিভিন্ন থানা/উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি গঠনের পর পদ পেয়ে যেসব নেতারা নিজেদেরকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন তাদেকে সামনের কমিটিতে রাখতে নারাজ খোকন ও রনি। সান নারায়ণগঞ্জকে অনেকে জানান যারা কমিটি নেয়ার আগে বেশ সক্রিয় ওঠে এবং কমিটির নেতৃত্ব পাওয়ার পর নিস্ক্রিয় হয়েছিলেন তাদেরকে এবার নেতৃত্বে রাখা হবে না।
কমিটি গঠনের পর রাজপথের আন্দোলনে যেসব নেতাদের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম ফতুল্লা থানা যুবদল নেতা মাসুদুর রহমান, ইসমাঈল খান, রূপগঞ্জ যুবদল নেতা আরিফুর রহমান ইমন, আফজাল কবির, আড়াইহাজার যুবদল নেতা জহিরুল ইসলাম, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল নেতা আশরাফ ভুঁইয়া, জিয়াউল হক চয়ন, বন্দর থানা যুবদল নেতা সম্রাট হোসেন সুজন সহ আরো বেশকজন যুবদল নেতা। তবে বিগত কমিটির দেয়া বিভিন্ন থানা/উপজেলা যুবদলের নেতৃত্ব পাওয়া অনেক নেতাদের খোকন ও রনির নেতৃত্বে রাজপথে দেখা মিলছে না।