সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে এখন জেলা বিএনপিতে কর্মীদের আস্থা কাজী মনিরুজ্জামান মনির। এদিকে মহানগর বিএনপিতে নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভরসা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। জেলা বিএনপির সভাপতি পদে থেকে ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করে নিজের যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন কাজী মনির। আবার মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থেকে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সকল কর্মকান্ডে রাজপথে যার সক্রিয় ভুমিকা সেই সাখাওয়াত হোসেন খানের উপর নির্ভর করে মহানগর বিএনপির সক্রিয়তা। মামলায় নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আইনি লড়াইয়েও একমাত্র ভরসা এই সাখাওয়াত হোসেন খান। আবার মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পাশে কাজী মনিরের ভুমিকাও জোড়ালো। এসব কারনে নেতাকর্মীরা বলছেন- জেলায় কর্মীদের আস্থা কাজী মনির ও মহানগরীতে সাখাওয়াত হোসেন খান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন- ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। দুই বছরের মাথায় তারা দুজন জেলা বিএনপির ২০৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। কমিটি গঠনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের কমিটি বানিজ্য পদ বানিজ্যের কোন অভিযোগ ওঠেনি। এমনকি এই কমিটির বিরোধীতা করে কেউ বিদ্রোহ করেনি।
নেতাকর্র্মীরা বলছেন- প্রায় ১৭ বছর পর নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পেরেছেন কাজী মনির। এতে নেতৃত্ব বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। কাজী মনির ও মামুন মাহামুদ জেলা বিএনপিকে কুক্ষিগত করেননি যা অতীতের নেতারা করেছিলেন। এর আগে কাজী মনির সেক্রেটারি পদে থেকেও জেলা বিএনপিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে চাইলেও তিনি পারেননি। জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কাজী মনির কোন ব্যবসায়ী কিংবা কোন দলীয় ডোনারদের কাছ থেকে তহুরী আদায় করেননি। দলের সভাপতি পদ বিক্রি করে তিনি নিজের পকেট ভারি করেননি। এমন কোন অভিযোগ ওঠেনি তার বিরুদ্ধে। তিনি নিজেই একজন শিল্পপতি। দুহাতে নেতাকর্মীদের বিপদে খরচ করেন। যে কারনে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থা কাজী মনির।
এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তৃতীয় সহ-সভাপতি পদে কমিটির খসড়া জমা দেয়ার কারনে আটকে গেল মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন। মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সেক্রেটারির চেয়েও দলীয় কর্মসূচিতে যার সবচেয়ে বেশি ভুমিকা সেই সাখাওয়াত হোসেন খানকে কমিটির পদে নিচে নামিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের চেষ্টাকে দলের বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র দেখছেন নেতাকর্মীরা। যেখানে মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের আস্থা এখন সাখাওয়াত হোসেন খান। উল্টো সরকারি দলের সঙ্গে প্রকাশ্যে রাজনীতিতে জড়িত নেতাদের সাখাওয়াতের পদের উপরে রেখে কেন্দ্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া জমা দেন মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা।
নেতাকর্মীরা আরও বলছেন- দলীয় কর্মকান্ডে যখন সাখাওয়াত হোসেন খানের উপর নির্ভর করছেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা তখন সাখাওয়াত হোসেন খানকে মাইনাসের চেষ্টা করে দলকে ধ্বংসের দিকে নিতে চেষ্টা করেছিলেন সভাপতি আবুল কালাম ও সেক্রেটারি এটিএম কামাল। মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল সরকারি দলের পক্ষ নিয়ে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের দেন। প্রকাশ্যে জাতীয়পার্টির প্রার্থীর নির্বাচনী সমাবেশে গিয়ে বর্তমান এমপি সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন আর সেই মুকুলকে সাখাওয়াত হোসেন খানের উপরের পদে রেখে কেন্দ্রে কমিটির খসড়া জমা দেয়ার হেতু কি তা নেতাকর্মীরা বুঝে গেছেন। মুলত সরকারি দলের হাতে মহানগর বিএনপিকে জিম্মি করার একটি বিরাট চেষ্টা ছিল যা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত হয়ে সেই মহানগর বিএনপির কমিটির খসড়া আর আলোর মুখ দেখলো না।