সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপির তৃন্যমুলের রাজপথ থেকে ওঠে আসা কর্মী শাহিন আহমেদ। দীর্ঘদিন বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামগুলোকে সামনে থেকে সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সালের মত কঠিন রাজনীতির সময়েও রাজপথ থেকেছেন এই নেতা। জিয়াউর রহমানের নামে সংগঠন জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের মাধ্যমে বিএনপির রাজপথে ওঠে আসেন তিনি। বলা যায় দিন রাত ২৪ ঘন্টা কাটান রাজনীতিতে। তবে একটা সময় তার নেতৃত্বে শোডাউন দেখা গেলেও গেলো কয়েক বছর তিনি গুটিকয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে হলেও নিয়মিত দলের কর্মসূচিগুলো ঠিকঠাক পালন করেছেন।
রাজপথে সক্রিয় ভুমিকা রাখার কারনে গত ১৩ সেপ্টেম্বর গঠিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে তাকে সদস্য পদে রাখা হয়। এতে অনেকের চোখ কপালে ওঠে গেলেও শাহিনের সম্পর্কে অনেকের সেই ধারণা নেই বলে নেতাকর্মীদের দাবি। মুলত শাহিনকে নিয়ে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। যার মধ্যে বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল এক সভায় বলেছেন শাহিনকে তিনি চিনেনই না। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন- মুকুল সারা বছর আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মঞ্চে ওঠতেন। রাজপথের কর্মী শাহিনকে তো মুকুল চেনার কথাও নয়।
নেতাকর্মীরা জানান, প্রয়াত জান্নাতুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে যখন জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের রাজনীতি করতেন শাহিন, তখনো শাহিন নেতাকর্মীদের নিয়ে সেই ২০১০/২০১১ সালে নগরীতে শোডাউন করেছেন। রাজনীতির শুরুতেই দলের প্রতি মিটিং মিছিলে শোডাউন দিতে গিয়ে নিজের আর্থিক অবস্থা দূর্বল করে ফেলেছেন। জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের রাজনীতি ছেড়ে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের নেতৃত্বে যুবদলের রাজনীতি করেছেন শাহিন। যার ফলে তাকে বন্দর থানায় যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক পদেও রাখা হয়। ওই সময়ও শাহিন নেতাকর্মীদের নিয়ে মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে থেকেছেন সক্রিয়। কিন্তু কয়েক বছর শাহিন সেভাবে শোডাউন দিতে না পারলেও রাজপথ ছেড়ে যাননি। বন্দর থেকে দুই আড়াইশো নেতাকর্মীদের নগরীতে মিটিং মিছিলে আনা হলে কি পরিমান খরচ সেটা নেতারাই ভালো জানান বলেও অনেকের মন্তব্য। নেতাকর্মীদের দাবি- শাহিন গত ১০/১২ বছরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও ঢাকায় বিএনপির যতগুলো মিটিং মিছিলে যোগদান করেছেন বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতারাও এতটা সক্রিয় ছিলেন না।
ঘটনা সূত্রে, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বাধীন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির শোক র্যালীকে সফল করার বন্দর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। ওই সময় বন্দর থানা বিএনপির সঙ্গে নেতাকর্মীদের নিয়ে মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে যোগদান করেন শাহিন। এর আগে তিনি নিজের নেতাকর্মীদের নিয়ে ফটোসেশনও করেন।
৬ অক্টোবর রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর মেট্রো হলের মোড় থেকে বন্দর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি বিশাল মিছিল নিয়ে মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির ভবনে সামনে মহানগর বিএনপির শোক র্যালিটি অংশগ্রহণ করেন।
এসময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মুখে একটাই শ্লোগান’ মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়া মুক্তি চাই’ । ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই’ ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম হিরন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাহিন আহম্মেদ, ফারুক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হারুন উর রশিদ লিটন, সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান রানা, বন্দর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন শিশির, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারা মিয়া, যুবদল নেতা জাহিদ খন্দকার, মোহাম্মদ মহসিন, রাজিব খান, জসীম উদ্দীন, জাহাঙ্গীর, আবু হানিফ, মোতালিব, সালাউদ্দিন, মাহবুব, হাফেজ, আসাদুজ্জামান, আক্তার, হালিম, বশির প্রমুখ।