ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ:
প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান বলেছেন, হৃদস্পন্দন ছাড়া যেমন জীবন বাঁচে না, তেমনি শেখ হাসিনার কর্মীরা তথা তৃণমূলই হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হৃদস্পন্দন। প্রধানমন্ত্রীও তার তৃণমূল কর্মীদের সবচেয়ে বেশী মূল্যায়ন করেন, ভালোবাসেন, সম্মান করেন। তাই যারা বঙ্গবন্ধু পরিবারের জন্য, নেত্রীর জন্য, দলের জন্য নি:স্বার্থভাবে ত্যাগ দিয়ে চলেছেন তাদের মুল্যায়ন সবার আগে করতে হবে।
শামীম ওসমান বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী, প্রশাসন, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি আমাদের গর্ব। ভালো খারাপ সব জায়গায় আছে। আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর স্যাংশন দেওয়া হয়। কি কারণে স্যাংশন দেওয়া হয় ! জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে এদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সুনাম বহু বছরের। এই সেদিন আমাদের সেনাবাহিনীর তিনজন বীর সৈনিক শান্তির জন্য লড়াই করতে করতে শান্তি মিশনে শহীদ হয়েছেন। তাহলে যারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন হারাচ্ছেন সেই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে কি শান্তিতে নোবেল দেয়ার দাবি জানাতে পারি না?
বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ইসদাইরে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শামীম ওসমান। অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ শহর, বন্দর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ের প্রায় ৬হাজার তৃণমূল নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সামনে বিভিন্ন এলাকার কর্মীরা বক্তব্য দেন, অনেকে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন। সবশেষে ছিল ভুড়িভোজ।
উৎসবমুখর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় শামীম ওসমানকে কর্মীরা ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শামীম ওসমান যেভাবে তৃণমূলকে সম্মানিত করেছেন, সেভাবে দেশের প্রতিটি জেলায় যদি সম্মানিত করা হয় তবে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে যে হতাশা ক্ষোভ বিরাজ করছে তা দূর হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে শামীম ওসমান বলেন, আগামীতে ষড়যন্ত্র হবে এবং সেটা মোকাবিলা করতে কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের ভরসাস্থল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মারার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জেও নানা ধরনের খেলা হবে। নারায়ণগঞ্জ অনেকের প্রধান টার্গেট। কিন্তু আমরা সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করব।
কর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পর্কে শামীম ওসমান বলেন, ‘আজকের এ আয়োজন আমাদের কর্মীদের জন্য। তাদের সম্মানিত করা। আগামী ২৩ তারিখ জেলা ও ২৫ তারিখ মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ইতোমধ্যে আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছি এখনো বলছি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করুন। মাথা থেকে পা পর্যন্ত যারা আওয়ামী লীগার তাদের মূল্যায়ন করুন। মূল্যায়ন মানে শুধুই পদ পদবি বা টাকা নয়, সম্মান দিতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কর্মীদের মূল্যায়ন করেন পছন্দ করেন, ভালোবাসেন সেটা তিনি বার বার উদহারণ দেখিয়েছেন। তার সবচেয়ে বড় প্রমান চন্দন শীল। তার দুই পা নেই, বোমা হামলায় পঙ্গু হয়েছেন। শেখ হাসিনা তাকেই জেলা পরিষদের মনোনয়ন দিয়েছেন। এই মনোনয়ন তৃণমূলের সকল ত্যাগী নেতাকর্মীদের মনোনয়ন।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা শুধু আওয়ামী লীগের স্পন্দন নন। তিনি আমার সন্তান, আপনার সন্তানের ভবিষ্যত।
এসময় জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর