সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
সারা বছর আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করেছেন আতাউর রহমান মুকুল, হান্নান সরকার ও সুলতান আহমেদ। এলাকার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের অনুষ্ঠান ছাড়াও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক সভা সমাবেশেও উপস্থিত থেকেছেন প্রকাশ্যে। এমনকি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর বিরোধীতা করে জাতীয় নির্বাচনে প্রকাশ্যে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন তারা।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে উপস্থিত ছিলেন আতাউর রহমান মুকুল। হান্নান সরকারের বাড়িতেই সেলিম ওসমানকে নিয়ে লাঙ্গলের কর্মীসভা করেছেন হান্নান সরকার। সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করতে যত টাকা লাগে হান্নান সরকার খরচ করারও ঘোষণা দেন সে সময়। সিরাজদ্দৌলা মাঠে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ধানের শীষের পক্ষে সমাবেশ করতে দেয়নি সুলতান। পরে অন্যত্র সমাবেশ করতে হয়।
জেলা জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আবুল জাহের গণমাধ্যমকে জীবদ্দশায় নিশ্চিত করেছিলেন সুলতান জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ২০১৫ সালে নগরীর খানপুরে সেলিম ওসমানকে সংবর্ধনা দেয়ার অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মিছিল করে যোগদান করেছিলেন হান্নান ও সুলতান। কিন্তু বিএনপির কমিটি গঠন আলোচনায় আসলেই তারা বিএনপিতে সরব হোন। এবারও তাই হয়েছে। মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পূর্বে বিএনপির মাঠে ফিরেন তারা। ১৩ সেপ্টেম্বর কমিটি হলে তারা বিদ্রোহ করে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার মিশনে নামেন।
২০০৯ সালে বন্দরে হাজী নুরুদ্দীন আহমেদকে সভাপতি ও মাজহারুল হক হিরণকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করলে সেখানে বিএনপির বিরোধীতা করে নিজেরাই পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন। আতাউর রহমান মুকুল নিজেকে সভাপতি ও হান্নান সরকার নিজেকে সাধারণ সম্পাদক নিজেরাই নিজেকে ঘোষণা দেন। সুতরাং বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করার মিশণ তাদের নতুন নয়।
এদিকে ৬ অক্টোবর যখন মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শোক র্যালী পালন করেন। সেদিন সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির লোকজনদের হুমকি ধমকি ভয়ভীতি দেখিয়ে মুকুল গংদের পাল্টা র্যালীতে যোগদান করানোর চেষ্টা করেন মুকুল। মুকুলের আয়োজিত র্যালীতে গেলে মামলা হবেনা কিন্তু সাখাওয়াত-টিপুর নেতৃত্বে র্যালীতে যোগদান করলে মামলার আসামি হতে হবে বলে নেতাকর্মীদের এমন ভয় দেখানো হয়। তারপরেও সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন করে মহানগর বিএনপি।
নিম্মে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সভা সমাবেশে উপস্থিতির ছবি প্রমাণস্বরুপ প্রকাশ করা হলো: