সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় মোবাইল সন্দেহে পিটুনিতে রাসেল নামে এক কিশোরের মৃত্যুু হয়। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার একজন আসামী
মুন্সীগঞ্জ সদর এলাকা হতে র্যাব-১১ গ্রেপ্তার করেছে। ১১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার উপ-পরিচালক, এএসপি রিজওয়ান সাঈক জিকু।
তিনি জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে আনুমানিক সাড়ে ৫টায় নারায়ণগঞ্জের খাঁনপুর হাসপাতালে শারীরিক নির্যাতনের কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেল (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের দাদি রুনু বেগম বাদী হয়ে এজাহারনামীয় জন সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন আসামীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০১ তারিখ ০১/১০/২০২২, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।
উক্ত ঘটনার পরপরই এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এজাহারনামীয় আসামীগণ আত্মগোপনে চলে যায়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অপরাধীদের সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১১ এর সদর কোম্পানীর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা কার্যক্রম ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অত্র হত্যার সাথে জড়িত এজাহারনামীয় ২নং আসামীকে সনাক্ত ও অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বজ্রযোগিনী এলাকায় ১১ অক্টোবর আনুমানিক আড়াইটায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এই হত্যাকান্ডের এজাহারনামীয় ২নং আসামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী সহ রফিকুল, সানী ও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৫টায় এনায়েতনগর এলাকা হতে ভিকটিম রাসেলকে মোবাইল চোর সন্দেহে উঠিয়ে নিয়ে ১নং আসামী রফিকুল এর বাসায় নিয়ে দিনভর শারিরীক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে ভিকটিম রাসেলের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ৩০সেপ্টেম্বর সাড়ে ৪টার দিকে পাঠানটুলি কবরস্থানের পার্শ্বে নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জানতে পারে যে ভিকটিম রাসেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী উপরোক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা কথা স্বীকার করে।