সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাগুলো ঘটেছে যথাক্রমে উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের উচিতপুরা গ্রামে ও দুপ্তারা ইউনিয়নের পাল্লা এলাকায়। ঘটনাগুলো বিভিন্ন সময়ে ঘটলেও ১২ অক্টোবর বুধবার রাতে দুটি ঘটনার উপরই মামলা রুজু করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, উচিৎপুরা বাজারের ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসায়ি মাসুমের সঙ্গে দোকানে আসা যাওয়ার সূত্রে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই এলাকার এক কিশোরী মিল শ্রমিক (১৬) এর। পরে মাসুম কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে এক বছর যাবত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে শারিরীক মেলা মেশা করে। পরে ওই কিশোরী কয়েকবার মাছুমকে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু মাছুম তাকে বিয়ে করার কথা বলে কালক্ষেপন করতে থাকে। সর্বশেষ মাসুমের কথামত গত পাঁচ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় ওই কিশোরী হাইজাদী ইউনিয়নের তিলচন্দী বাজারে মাসুমের সাথে সাক্ষাৎ করে। পরে মাছুম তাকে ফুসলিয়ে তিলচন্দী গ্রামে কিশোরীর নানার পরিত্যক্ত বসত বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে নিয়ে তাকে শারিরীক মেলামেশার প্রস্তাব দেয়। ওই সময় কিশোরী তাকে বিয়ে করার কথা বললে মাছুম তাকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তখন কিশোরী মাসুমের সাথে শারিরীক মেলা মেশা করতে রাজি না হলে মাসুম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে বুধবার রাতে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপর ঘটনায় বিবরণে জানা যায় যে, উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের পাল্লা গ্রামের এক গৃহিনী (৪০) কে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের খ্য়ারুদ্দিনের ছেলে আনোয়ার (৪৫) ধর্ষণ করে। আনোয়ার দুই সন্তানের জনক এবং ওই মহিলা ৪ সন্তানের জননী। গত প্রায় ২ মাস যাবত সে ওই মহিলাকে চাকুরীর প্রলোভনে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার বাউজগাঁও গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে সেখানে আটকে রেখে বলপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষিতার স্বামী এবং ভাসুর তাকে পুলিশের সহযোগিতায় ৮ সেপ্টেম্বর উদ্ধার করে আনেন। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে বুধবার রাতে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, দুটি ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে। অপরাপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।