সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপির একমাত্র দাবি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। সকল দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের কয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন সহ বিএনপি চলমান আন্দোলনে যে সকল নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে তাদের রক্তের ঋণ সরকারকেই শোধ করতে হবে। তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে তাদেরকে হঠিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলনে অংশ হিসাবে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির চলছে সর্বাত্মক প্রস্তুতি ও প্রচারণা।
তার ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে সাধারণ মানুষকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে নগরীতে বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ করেছে মহানগর বিএনপি।
এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের সমাগমে হয়ে গেছে শোডাউন। নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের এসিআই কল রোড থেকে চাষাড়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে হেটে হেটে লিফলেট বিতরণ করে মহানগর বিএনপি। ওই কর্মসূচির শুরুতে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সাখাওয়াত হোসেন খান উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন বাংলাদেশে হয়েছে কোন নির্বাচনই কিন্তু সুষ্ঠু হয় নাই। আর ভবিষ্যতে হবে বলে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। সুতরাং আমরা চাই এদেশে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। যে সরকার এসে বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন উপহার দিবে। সে নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে. জ্বালানী তেল, চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ও আওয়ামী পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিভাগীয় এ গণসমাবেশ। গণসমাবেশে জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এ গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোন মূল্যেই সমাবেশ সফল হবেই। কেবল নেতাকর্মী নয়, জনগণও উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে ও সমাবেশ সফল করতে আমাদের এই লিফলেট বিতরণ।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, সব বাধা ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করার অঙ্গীকার করেছেন দলের নেতাকর্মীরা। দলীয় কর্মী ছাড়াও সরকারের দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট সাধারণ মানুষও এতে যোগ দেবেন। এই গণসমাবেশের মধ্যদিয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘন্টা বেজে উঠবে। ইনশাল্লাহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আবারও নতুন সরকার গঠন হবে।
একসময় লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম আহ্বায়ক এমএইচ মামুন, কার্যকরি সদস্য ডা. মুজিবুর রহমান, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, কামরুল ইসলাম চুন্নু সাউদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মাহমুদুর রহমান, হাবিবুর রহমান মিঠু, বরকতউল্লাহ,মাসুদ রানা, ফারুক আহমেদ রিপন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম সরদার, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবুল হোসেন রিপন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান অনি, শাহিন শরিফ,আরিফ খান, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সম্রাট হাসান সুজন, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান সাগর, বন্দর থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাহিদ ইসতিয়াক, মহানগর জাসাসের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম স্বাধীনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।