সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
কেন্দ্রীয় বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামকে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্চিত ঘোষণা দিয়ে এবং সালাম নারায়ণগঞ্জে আসলে তার চামড়া তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টিঘেঁষা আতাউর রহমান মুুকুল। বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় গিয়ে আতাউর রহমান মুকুল মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু আব্দুস সালাম যখন মহানগর বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি হয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তখন ঘোষণাকারী মুকুল গং লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, সামনের আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করার লক্ষ্যে রাজপথের সক্রিয় দুই নেতাকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। ১৩ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে মহানগর বিএনপির ৪১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এই কমিটির বিরোধীতা করে কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পাওয়া আতাউর রহমান মুকুল, আবদুস সবুর খান সেন্টু, আবু কাউসার আশা সহ ১৪ জন সদস্য মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। রহস্য ও আশ্চয্যের বিষয় হলো গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করায় দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার। ১৮ সেপ্টেম্বর সেই তৈমূর আলম খন্দবারের মাসদাইরের বাসায় গিয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দেন মুকুল সহ ১৪জন নেতাকর্মী যা মিডিয়াতে প্রকাশ পায়।
ওইদিন মুকুল তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আব্দুস সালামকে নিয়ে নানা কটুক্তি করেন। তিনি বলেন, সালাম মুন্সীগঞ্জের কিয়ের নেতা? ওরে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম, সে নারায়ণগঞ্জে আসলে তার চামড়া তুলে নিবো। মুকুলের এমন বক্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, মুকুর সারা বছর আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাদে সঙ্গে একসাথে একমঞ্চে ওঠে রাজনীতি করেছেন। এখন বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে আবারো নতুন মাঠে নেমেছেন।
গত ১৫ অক্টোবর বন্দরে একটি অনুষ্ঠান করে মুকুল বক্তব্য দেন,‘ আব্দুস সালামকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। মহানগর বিএনপির দেখভাল করবেন খোদ মহাসচিব।’ মুকুলের এমন মিথ্যা বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এদিকে ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগর বিএনপির আয়োজিত নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আব্দুস সালাম আজাদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সাখাওয়াত হোসেন খান ও পরিচালনায় ছিলেন আবু আল ইউসুফ খান টিপু। ঠিক একই সময়ে নগরীর ডিআইটি এলাকায় সমাবেশ করেন মুকুল গং। কিন্তু মুকুল ইতিপূর্বে সালামের চামড়া তুলে দেয়ার ঘোষণা দিলেও চাষাড়ায় মহানগর বিএনপির সমাবেশের দিকে আসারই কোনো সাহস দেখাতে পারেনি।
মহানগর বিএনপির সমাবেশে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এমএইচ মামুন তার বক্তব্যে মুকুল গংদের ইঙ্গিত করে বলেছেন, আজকে মহানগর বিএনপির সমাবেশের প্রধান অতিথি আব্দুস সালাম আজাদ। বাকিটা আপনারা বুঝে নেন। আমরা ছাত্রদল থেকে রাজনীতি করে করে এসেছি। আমাদের হুমকি ধমকি চোখ রাঙ্গানি দেখাবেন না।
অপর যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ ফতেহ রেজা রিপন বলেছেন, মহানগর বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করুন। আমাদের বেয়াদবী করতে বাধ্য করবেন না।