সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ৬ অক্টোবর কেন্দ্র ঘোষিত শোক র্যালী কর্মসূচি পালন করেছে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। মহানগর বিএনপির পাল্টা শোক র্যালী করেছিলো আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা। মুকুলের নেতৃত্বে র্যালীতে আসলে সাখাওয়াত ও টিপুর কমিটি ভেঙ্গে দিবে এমন আশ্বাস দিয়ে নেতাকর্মীদের সমাগত করেছিলো মুকুল গং। কিন্তু কমিটি ভাঙ্গার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা সাখাওয়াত ও টিপুর নেতৃত্ব মেনে মুলধারায় ফিরতে শুরু করেছেন।
২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। নগরীর চাষাঢ়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন। এর আগে তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিদ্রোহী করেছিলেন। যদিও আগের দিন লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতেও ফারুক হোসেনকে দেখা যায়।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, সামনের আন্দোলন সংগ্রামকে বেগবান করার লক্ষ্যে রাজপথের সক্রিয় দুই নেতাকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। ১৩ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে মহানগর বিএনপির ৪১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
এই কমিটির বিরোধীতা করে কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদ পাওয়া আতাউর রহমান মুকুল, আবদুস সবুর খান সেন্টু, আবু কাউসার আশা সহ ১৪ জন সদস্য মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। রহস্য ও আশ্চয্যের বিষয় হলো গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করায় দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হয়েছেন তৈমূর আলম খন্দকার। ১৮ সেপ্টেম্বর সেই তৈমূর আলম খন্দবারের মাসদাইরের বাসায় গিয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দেন মুকুল সহ ১৪জন নেতাকর্মী যা মিডিয়াতে প্রকাশ পায়।