সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশষ্টি কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। কমিটির বিরোধীতা করে এই কমিটিতে পদ পাওআ ১৪ জন নেতাকর্মীরা গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ওই পদত্যাগ পত্রটি বিভিন্ন মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতা সহ মহানগর বিএনপির নতোদের হাতে পৌছালে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় দুই দফায় ১৪জনের মধ্যে ১১ জনকে মুলধারা ফেরার সুযোগ দেয়। কিন্তু সেই সুযোগ তারা কাজে না লাগানোর কারনে অবশেষে সেইসব নেতাদের পদত্যাগ পত্র গৃহিত হয়েছে। ফলে পদত্যাগ করে দলটির পদ হারিয়েছেন ১১জন নেতা।
নেতাকর্মীরা বলছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ঘোষণা করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এই কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিরোধীতা শুরু করেন যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল। কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে মূলধারার বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন এবং বিএনপির বহিস্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবনে গিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এরপর মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির কার্যকরী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পদত্যাগকারী ১৪ জনের শূন্যস্থান পূরন করা হবে। তবে তাদের মধ্যে মাষ্টারমাইন্ড তিনজন ছাড়া বাকি ১১ জনকে ক্ষমা চেয়ে মূলধারায় ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হয়। যদি শূন্যস্থান পূরনের আগে তারা ফিরে আসে তাহলে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং সাদরে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু সেই আহ্বানে তারা এখনও সাড়া দেননি। এর ফলে মূলধধারার রাজনীতিতে ফেরার সব রাস্তা তাদের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। এখন সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার অনুসরন করে সেই সকল শূন্য পদে যোগ্য লোকদের পদায়ন করা হবে।
একই বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন ১৪ জনের পদত্যাগপত্র গৃহীত করতে এবং তাদেরকে বাদ দিয়ে যোগ্য লোকদের নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যেতে। তারেক রহমানের দেয়া কমিটির বিরোধীতা করায় তার সিদ্ধান্তের অবমাননা হয়েছে। তাই তিনি সেই ১৪ জনের উপর ক্ষুব্দ এবং তাদেরকে আর কখনো ক্ষমা করা হবেনা বলে জানিয়েছেন।