সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদেরকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমরা যথাযথভাবে পালন করবো। রাজপথের ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হবে। আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টি মার্কা নেতাদের কমিটিতে জায়গা দেওয়া হবে না। যোগ্য লোকদের কমিটিতে স্থান দেয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। আমরা সে দায়িত্ব সফলভাবে পালনের লক্ষ্যে আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
বন্দর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় বন্দর উপজেলাধীন মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মহানগর বিএনপির আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটিকে সু- সংগঠিত ও শক্তিশালী করে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচটি সার্চ কমিটির গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ত্যাগী এবং পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের খুঁজে বের করে তাদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেবে। এক্ষেত্রে কোনো স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় নেয়া হবে না। যারা ইতিমধ্যে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন তাদেরকেই কমিটিতে স্থান দেয়া হবে।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ দেখে সরকারের কাপুনি ধরে গেছে। দেশের জনগণ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়েছে। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঠেকাতে ধর্মঘটের নামে হরতাল পালন করছে। তারপরেও পায়ে হেটে লাখ লাখ জনগণ মহাসমাবেশে যোগদান করছেন। জনগণ এবার অবৈধ সরকারকে টেনে হেছড়ে নামাবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, একটি জাতিকে যদি উন্নত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হয় তাহলে দরকার শিক্ষা ঐক্য শান্তি আর হলো সফলতা। আজকে এখানে এসেছি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশে। আমরা আহবায়ক কমিটি ২৭ টি, ওয়ার্ড ৭টি ইউনিয়ন, ২টি থানা ও ১টি উপজেলা কমিটিগুলো সুসংগঠিত করতে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ ও লাঙ্গল মার্কা বিএনপি মুক্ত করে শহিদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের হাতে তুলে দিতে চাই। অতীতে যারা বন্দর থানা বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা একটি গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসী বাহিনির কাছে জিম্মি হয়ে গিয়েছিল। তারা শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার শ্লোগান দিতে দেয়নি। তারা সেদিন একটি গোষ্ঠির কাছে আবদ্ধ ছিলো, আমরা কোনো গোষ্ঠীর কাছে মাথানত করবোনা। আমরা শহিদ জিয়ার গড়া দল কে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গুলো প্রতিষ্ঠিত করে উপহার দিতে চাই।
বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম হিরনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন শিশির’র সঞ্চালনায় কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা, ডা. মজিবুর রহমান, মাহমুদুল ইসলাম, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, আনিসুর রহমান টুলু, শাহিন আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ পনেছ, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, হারুন অর রশিদ, যুবদল নেতা শাহাদুল্লাহ মুকুল, বন্দর থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।