সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত ২৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আব্দুল হাই ও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে স্বপদে বহাল রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওইদিন ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যে হাই ও বাদলকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, সারাদেশে কে কি করে সব জানি। ভালো হয়ে যান। কমিটি করতে ভাগাভাগি করবেন না।
তবে আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন নির্দেশনার এক সপ্তাহ না যেতেই জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই ভাগ হয়ে গেছেন। শহীদ বাদল নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের বলয়ে রাজনীতি করেন। তিনি শামীম ওসমানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। এদিকে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী শামীম ওসমানের বিরোধী হিসেবে পরিচিত।
জানাগেছে, ৩১ অক্টোবর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে মহান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। ওই সময় তারা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এসময় নেতৃবৃন্দ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য এবং সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
এখানে আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে দেখা যায়নি। তবে আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, সাবেক সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বাচ্চু, আরজু রহমান ভূঁইয়া, সিকদার গোলাম রসুল, মো. ছানাউল্লাহ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ইকবাল পারভেজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নিজাম আলী, সাবেক সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুর হোসেন, সাবেক শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মাঞ্জুরুল আলম টুটুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইসহাক সরকার, সাবেক মহিলা সম্পাদিকা মরিয়ম কল্পনা, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক রচনা রানু খন্দকার, সাবেক সদস্য মেয়র হালিম শিকদার, আমজাদ হোসেন, মো. শহিদুল্লাহ, আবদুল কাদির ডিলার, শামসুজ্জামান ভাষানী, সাদেকুর রহমান, মাহবুবুল ইসলাম রাজন, মতিউর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজী,আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন বিএ, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির,জেলা আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন আহমেদ এড. সুলতান উদ্দিন নান্নু, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহান, রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাবিবুল কাদির তমাল, মহানগর যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল বাবু প্রমূখ। এখানে বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা এমপি শামীম ওসমানের বিরোধী হিসেবে পরিচিত।
তবে আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো কয়েক ঘন্টা পর শহীদ বাদলও তার অনুগামী হাতে গোনা কয়েকজন নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাদলের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবু জাফর চৌধূরী বিরু।
এর আগে গত ২৬ অক্টোবর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শামসুজ্জোহার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সেদিন সভাপতি আব্দুল হাইকে সঙ্গে দেখা যায়নি। তবে মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা সহ এমপি শামীম ওসমানের অনুগামী নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন। সেদিন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে দেখা যায়নি।