সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-(রূপগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের রেকর্ড সংখ্যক নেতারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। মুলত বর্তমান সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের মনোনয়ন ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টা ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাজী মনোনয়ন পান। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফিক বেশ আলোচিত ছিলেন। বর্তমানে রূপগঞ্জে মন্ত্রী গাজীর একক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আওয়ামীলীগ। এদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি থাকলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পেতে প্রতিযোগীতা চলছে বিএনপির নেতাদের মাঝে। একই সঙ্গে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামেও বেশি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন নেতারা। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখানকার বিএনপি নেতারা বেশ অবস্থানে রয়েছেন। নিয়মিত হামলা মামলা ও নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে ভাংচুরের পরেও বিএনপি দমে যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, টানা তিন মেয়াদে রূপগঞ্জ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন গাজী গোলাম দস্তগীর। প্রতিটি নির্বাচন নাগাদ সময়ে সাবেক সেনা প্রধান কেএম শফিউল্লাহ আলোচনায় থাকলেও তিনি রাজনৈতিক মাঠে নামেন না। তবে গত নির্বাচনে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিলেন। উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়ার সঙ্গেও গাজীর বিরোধ ছিলো। আওয়ামীলীগের একটি অংশের নেতারা কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছেন। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের নিবাস রূপগঞ্জে হলেও সেখানে তার প্রভাব তেমন একটা নেই।
তারাাবো পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছেন মন্ত্রী গাজীর সহধর্মিনী হাসিনা গাজী। এদিকে রাজনৈতিক মাঠে নেমেছেন মন্ত্রীর ছেলে পাপ্পা গাজী। কায়েতপাড়া ইউনিয়নে নৌকার বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন রফিকের ভাই মিজানুর রহমান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও তাবিবুল কাদের তমাল বিদ্রোহ করে নির্বাচন করেছিলেন। ৩১ অক্টোবর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে দেখা গেলো পাপ্পা গাজী। নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন সামনের নির্বাচনে হয়তো তিনিই হতে পারেন নৌকার প্রার্থী।
অন্যদিকে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে প্রাথমিকভাবে বিএনপির ধানের শীষপ্রতীকে মনোনয়ন পান জেলা বিএনপির সাবেক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, তৈমূর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া। তৈমূর আলম চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিএনপি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কৃত হোন। জেলা বিএনপির সভাপতির পদ হারিয়ে রাজনীতি থেকে নিস্ক্রিয় কাজী মনির। দিপু ভুঁইয়াকে মাঝে সাঝে দেখা গেলেও পুরোদমে রাজপথে নন তিনি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও বাছির উদ্দীন বাচ্চু রয়েছেন রাজনীতির মাঠে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের নেতা আশরাফুল হক রিপন, মোশারফ হোসেন, আনোয়ার সাদাত সায়েম, মাহাবুব রহমান সহ আরো বেশকজন নেতা রয়েছেন উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আসার প্রতিযোগীতায়। এদের কেউ কেউ জেলা বিএনপির কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসার প্রতিযোগীতায় রয়েছেন। একই সঙ্গে বিএনপির রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামেও তারা সক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন। যদিও কেন্দ্রীয় নেতাদের তদবিরের কারনে উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে আটকে রয়েছে।