সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে ছাত্রদলের বের হওয়া মশাল মিছিলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় ছাত্রদল নেতা অনিক নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। একইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা ও নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
৪ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে আজহারুল ইসলাম মান্নান এক বিবৃতিতে এই গভীর শোক প্রকাশ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় নিহত ছাত্রদল নেতা অনিককে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হবে। এই সরকার দেশে খুন গুম হামলা মামলা নির্যাতনের রাজত্ব কায়েম করেছে। অচিরেই জনগণ এই সরকারকে পতন ঘটাবে। এই সরকারের খুন-গুনের হামলা মামলা নির্যাতনের বিচার এদেশের জনগণ করবে।
জানাগেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়েদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মশাল মিছিল করে রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের মশাল মিছিল শেষে মিছিলকারীদের ওপর স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি অমিত হাসান অনিক নিহত হয়েছেন। নিহত অমিত হাসান অনিক কাঞ্চন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। নিহত অমিত হাসান অনিক রূপগঞ্জের চরপাড়ায় দাইমুদ্দিন হাসপাতাল এলাকার আমীর হোসেনের ছেলে।
৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে অমিত হাসান অনিক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
নেতাকর্মীরা জানান, তারেক জিয়া ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিরুদ্ধে একটি মশাল মিছিল বের করেন রূপগঞ্জ থানা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ১০-১২টি মোটরসাইকেলে করে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ভুলতা গাউছিয়া মুন্সি পাম্পের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রদল ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে অনিককে ধাক্কা দিয়ে ঢাকা বাইপাস সড়কে চলন্ত মাইক্রোবাসের নিচে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। এতে অনিক গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিছিলের প্রায় শেষ পর্যায়ে হঠাৎ লাঠিসোটা, রামদা ও রড নিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় মোট ছয়জন আহত হয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় ছাত্রদল নেতা অনিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিকের মৃত্যু হয়।