সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বারদী হাইস্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হয়েছেন লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল। এমন অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘোষণামুলক মামলায় সভাপতি পদটি অবৈধ ঘোষণার আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
মামলা সূত্রে, বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুল এমপির ডিও লেটার নকল করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি হয়েছেন। এমন অভিযোগেই বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের নির্বাচিত দাতা সদস্য মোঃ সাঈদ সরকার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ (সোনারগাঁ) আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ১২জনকে বিবাদী করাা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম মুক্তা।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয যে, ১৯০০ সালে বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। পরে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা ২০০৯ এর ২৩(১) বিধি অনুসারে প্রিজাইডিং অফিসার সকল প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। প্রিজাইডিং অফিসার বাদী মোঃ সাইদ সরকারকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
বারদী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মোস্তফা জহিরুল হক, জসিউর রহমান, মোঃ ফারুক সরকার নাম সহ নির্বাচনী ফলাফল বোর্ডে প্রেরন করেন এদের মধ্য থেকে একজনকে সভাপতি মনোনীত করার জন্য। মাহবুবুর রহমান বাবুল সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ডিও লেটার নকল করে বোর্ডে প্রেরণ করে নিজে সভাপতি হন।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, অধ্যক্ষ যে তিনজনের নাম বোর্ডে প্রেরণ করেছে সে বিষয়ে অবগতি আছি। কিন্তু বাবুল আমার ডিও লেটার ও স্বাক্ষর জাল করে বোর্ডে পাঠিয়েছে বলে শুনেছি। আমি স্কুলের কোন ডিও লেটারে স্বাক্ষর করিনি।