সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর চাষাঢ়ায় মশাল মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপির ২৯ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
এই মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ১৪জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৭০/৮০জন নেতাকর্মীকে আসামি করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছিলো নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ।
১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মহানগর বিএনপির পক্ষে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, মুলত আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঠেকাতেই সরকারি দল আওয়ামীলীগের পক্ষে মিথ্যা ঘটনা সাঁজিয়ে গায়েবী মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জে এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আওয়ামীলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে ঘটনা সাঁজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে এই মিথ্যা সাঁজানো গায়েবী মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই এবং যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি চাই। কোনো ষড়যন্ত্র করেও ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।
তারা পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দশ্যে করে বলেন, পুলিশ এভাবে আওয়ামীলীগের পক্ষ নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে মামলা করে জনগণের আস্থা হারাচ্ছে। পুলিশকে মনে রাখতে হবে পুলিশ কোনো দলের নয়, পুলিশ জনগণের বন্ধু। আপনারা জনগণের পক্ষে কাজ করুন। যারা অতি উৎসাহী হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন একদিন তাদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এদিকে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমএইচ মামুন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, বিএনপি নেতা আনোয়ার মাহমুদ বকুল, মোজাম্মেল, বাবুসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৪০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই আজহারুল ইসলাম। ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় নগরীর চাষাঢ়ায় মশাল মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার।