সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেঁ বিএনপি। এসব অভিযানে বিএনপির ১৪জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির দাবি- আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ ঠেকাতেই বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাঁজানো গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে পুলিশ।
একই সঙ্গে গ্রেপ্তারের বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে গায়েবী মামলা প্রত্যাহার ও নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করেন।
৩ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি। বিবৃতিতে মান্নান ও মোশারফ হোসেন আরো বলেন, গায়েবী মামলা হামলা হুমকি ধমকি গণগ্রেপ্তার করেও জনগণের দাবি ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না। ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশে সোনারগাঁয়ের সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সফল অংশগ্রহণ করবে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি।
সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি বিবৃতিতে জানায়, গত দশ দিনে বারদী ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ খোকন, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী সুরুজ মিয়াকে না পেয়ে তার কলেজ পড়ুয়া সন্তান গাজী রহমত উল্লাহ, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোহম্মদ ফারুক, সহ-সভাপতি বাদল, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আরিফ হোসেন, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল হোসেন, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোয়াজ্জেল হোসেন, বিএনপি নেতা গোলনুর হোসেন জুয়েল, সোনারগাঁও উপজেলা জাসাসের সভাপতি আমির হোসেনকে না পেয়ে তার বড় ভাই আলী হোসেনকে গ্রেপ্তার, কাঁচপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী আব্দুল কুদ্দুস, সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির ত্রাণ ও পুণর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মিন্টু মিয়া ও সোনারগাঁও পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সেন্টু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।