সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আহত এবং গ্ৰেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আজ ৭ ডিসেম্বর বুধবার রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ তারিখের গণসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে টিয়ারসেল নিক্ষেপ, হামলা, লাঠিচার্জ ও গুলি করে। বিএনপি অফিসের ভেতরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। সেখানে টিয়ারগ্যাস ছুড়ে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করে। অফিসের ভেতরে থাকা মহিলা নেতাকর্মীরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। শুধু তা-ই নয়, আশেপাশের ভবনগুলোতে প্রবেশ করে সেখানে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করে। দুপুরের পর থেকে পুলিশ ও সরকারি দলের গুন্ডাবাহিনীর হামলায় গোটা এলাকায় এক ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করে। খুব কাছ থেকে বিএনপির কর্মীদের উপর নির্দয়-নিষ্ঠুরভাবে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হন অসংখ্য নেতা-কর্মী। বিএনপির এক কর্মীকে সামনে থেকে গুলি করে হত্যা করেছে সরকারের পেটুয়া বাহিনী। এদের বিচার এদেশের জনগণ করবে ইনশাআল্লাহ। কোনো স্বৈরাচারী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রিজভী আহমেদ, ঢাকা মহানগর (উত্তর) বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। আমরা এই হত্যাকাণ্ড ও জাতীয় নেতাদের গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্ৰেফতারকৃত সকলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।
আমরা নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সেই সাথে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে এ হত্যার সাথে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
আরো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার হুমায়ুন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ও এমএইচ মামুন সহ মহানগর বিএনপি।