সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আলীরটেক ইউনিয়নের সমাজ সেবক সায়েম আহমেদ বলেছেন, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আলীরটেক ইউনিয়নবাসীর পাশে থাকবো ইনশাহআল্লাহ। চেয়ারম্যান হতে পারিনি তাতে কি? ইউনিয়নের মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি তাতে আমি গর্বিত, জনগণের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি আলীরটেক ইউনিয়নের সন্তান, এটা আমার জন্মভুমি। এখানকার মাটি ও মানুষকে আমি ভালোবাসি। সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই বলেছেন তিনি।
জানাগেছে, গত বছর সায়েম আহমেদ আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তুমুল লড়াই করেন। সেই সময় জেলার প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি জেলা জুড়ে আলোচিত হয়। নির্বাচনে সায়েম আহমেদ ব্যাপক আলোচিত হয়ে ওঠেন। ওই ইউনিয়নে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। যে কারনে স্থানীয়রা মনে করেন, সায়েম আহমেদকে ভোটে নয়, তাকে পরাজিত করানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই নির্বাচনে প্রথমে রানিং চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি নৌকা প্রতীক পান। নৌকা প্রতীক পেয়ে এলাকা গণসংযোগে গেলেও মতির পাশে লোকজন সারা দেয়নি। জনগণ সায়েমের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নামেন। এমন পরিস্থিতিতে হটাত করে নৌকার প্রার্থী অসুস্থ্যতার অজুহাতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। মনোনয়ন দাখিলের দুইদিন আগে পুনরায় নৌকা প্রতীক নিয়ে আসেন জাকির হোসেন। সায়েম আহমেদ নির্বাচনে পুরোদমে নামার আগেই মামলায় আসামি করা হয় সায়েম ও তার লোকজনকে। জামিন পেয়ে মাত্র সাতদিন প্রচারণা চালিয়েও ভোটে সায়েম আহমেদ দ্বিতীয় হোন। ওই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় ছিলো- জেলা হেফাজতে ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমানও হেফাজতের লোকজন নিয়ে নৌকার পক্ষে শোডাউন করেন।
এদিকে নির্বাচনের পরেও ইউনিয়নবাসীর নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন সায়েম আহমেদ। ২৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলেও তিনি আলীরটেক ইউনিয়নে যান এবং স্থানীয়দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতও করেন। তিনি ব্যবসায়িক কারনে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে বসবাস করেন। ফলে কয়েকদিন পরপর আলীরটেক তিনি প্রবেশ করলেই শতশত মানুষ তার সাথে সাক্ষাত করতে আসেন।