সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকার নিষ্ক্রিয় নেতাদের কাছ থেকে তহরী আদায় চলছে বলে অভিযোগ করেছেন সক্রিয় নেতারা। তাদের অভিযোগ- অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের বড় বড় পদে অধিষ্ট করানোর লক্ষ্যে জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ কজন নেতা বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়নের নেতাদের প্রলোভন দেখাচ্ছেন। সেই সঙ্গে নিজেদের চাটুকার শ্রেণির অযোগ্যদের শীর্ষ পদে রাখার চেষ্টাও করছেন বলেও অভিযোগ নেতাকর্মীদের। ঈদের আগেই জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র চলছে শীর্ষ নেতাদের ঈদ উপলক্ষ্যে পদ বানিজ্য। অনেকটা তারা ঈদ হান্টিং হিসেবে নিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে।
জানাগেছে, গত বছরের ৫ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। আংশিক কমিটির সভাপতি হন মশিউর রহমান রনি ও সাধারণ সম্পাদক হন খায়রুল ইসলাম সজীব। কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে নানা ধরণের কোন্দল।
ছাত্রদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি কারাগারে গেলে এক পক্ষের নেতাকর্মীরা আরেক পক্ষকে দোষারোপও করেছিলেন। সজীব কারাগারে গেলে রনির ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়। আবার রনি কারাগারে সজীবের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা শুরু হয়। এর প্রধান কারন হিসেবে তাদের দাবি- সজীব কারাগারে যাওয়ার পর রনি একাই চেয়েছিলেন জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিজের মতগড়া মত অনুমোদন করাতে। আবার রনি কারাগারে যাওয়ার পর সজীব চেয়েছিলেন তার মনগড়া মত কমিটি গঠন করে তা অনুমোদন করাতে। এসব বিষয়ে নেতাদের মাঝে শুরু হয় চরম ক্ষোভ। এমনকি কমিটিতে অন্যান্য পদে থাকা নেতারাও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি মিডিয়াতে বলেছেন, আগামী ঈদুল ফিতরের আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু এ কমিটি ঘোষণা করার আগেই ছাত্রদলের কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে নামে পদ বানিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। আবার অনেককেই প্রলোভন দেখানো হচ্ছে জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নিচের পদে রেখে পরবর্তীতে থানা পর্যায়ে শীর্ষ পদে রাখা হবে। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের পকেটে কিছু দিতে হবে এমনটা বলে পদ প্রত্যাশি নেতাদের কাছ থেকে তহরী আদায় করছেন কজন নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশকজন পদ প্রত্যাশি নেতা এসব অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রদল নেতা বলেন, শুনেছি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। তবে লাভ নাই আমাদের তো আর অনেক টাকা নাই। তাই আমরা পদ পাব কিনা তাও জানি না। আর পেলেও তেমন কোন ভাল মানের পদ পাবো তা বিশ্বাস করিনা। জেলা ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যদের পদে বসানোর কথা বলছেন। আবার তাদের চার পাশের চাটুকারদের পদে বসানোর চেষ্টা করছেন।
কমিটির পদ বানিজ্যের বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনির সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। একইভাবে জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবকে পাওয়া যায়নি।
তবে কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহামুদ উল্লাহ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম’কে বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না।’