হয় মরবো, নয়তো আন্দোলন, পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই: আহমদ আজম খান

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি আমরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে না পারি তাহলে আমাদের দেশমাতা মাদার্স অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া বন্দি থাকবেন এবং আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান নির্বাসনই থাকবে। তেমনি বন্দি থাকবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। বন্দি থাকবে বাংলাদেশের মানবাধিকার, বন্দি থাকবে বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের অধিকার। সুতরাং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য আমাদের সবাইকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের একমাত্র পথ হলো আন্দোলন। আন্দোলন থেকে পিছপা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ দফাকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে এবং ২৭দফা কর্মসূচিকে এদেশের জনগণের মাঝে পৌছে দেওয়ার জন্যে। আমরা যেন আন্দোলনকে কোনভাবেই থামিয়ে না দেই এবং হারিয়ে না যাই। এই আন্দোলন থেকে হারিয়ে যাওয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের কোন সুযোগ নেই। আমাদের পিছনে অত্যাচারী সরকার, সামনে কারাগার। সুতরাং আমাদের একমাত্র পথই হলো আন্দোলন। আমাদের হয় আন্দোলন করতে হবে না হয় মরতে হবে। এর বাইরে আমাদের মধ্যে বিকল্প কোন রাস্তা নেই।

বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনে ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা নিয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।

৮ জানুয়ারী রবিবার সকাল ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাংস্থ তাজমহল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন এই সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পাখির মতন মানুষকে গুলি করে মারে। নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা শাওন প্রধানকে গুলি করে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এইভাবে নেতাকর্মীদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে শৃঙ্খলা বাহিনী। হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের কে আহত করা হয়েছে। গুলি করে মারো আমাদেরকে আহতও করে আমাদেরকে আবার মামলাও দেয় আমাদেরকে। আবার আমাদের কাছ থেকে জোর করে জবানবন্দি নেয় যারা নিহত হয়েছে তারা কেউ বিএনপি করেন না। আজকে ফেরাউন ও হিটলার যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বলতেন যে আমাদের চেয়েও যে কত বড় ক্ষমতাবান এই বর্তমান সরকার।

তিনি বলেন, বিএনপি কোনদিন পিছনে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি এবং আগামী তো আসবে না। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমরা এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন অংশগ্রহণ করব না। আগামী ১১ই জানুয়ারি বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় গণ অবস্থান কর্মসূচি ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে। সেই কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মাশুকুল ইসলাম রাজিবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, জুয়েল আহম্মেদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আঃ হাই রাজু, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন শিকদার, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, গোপালদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিলন, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান,কাঞ্চন পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমার,জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, সাবেক সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম ইমন, যুগ্ম সম্পাদক রাসেল রানা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া প্রমুখ।