সরকার দলের দুই নেতার নিয়ন্ত্রণে চলতো বন্দরের মাদক ব্যবসা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের প্রতিটি এলাকায় মাদক বিস্তার ছড়িয়েছেন সরকারি দলের দুইজন নেতা। যেখানে একজন কাউন্সিলরও রয়েছেন এই মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ মাদকের বিরুদ্ধে যখন কঠোর অবস্থানে তখন সরকার দলের ওই দুই নেতা ও তাদের মাদক বিক্রয়ের প্রতিনিধিরা কিছুটা আড়ালে চলে গেলেও এখনও এমন পরিস্থিতিতেও চলছে মাদক বিক্রি। তবে বন্দরের মানুষ সাহস করে কখনও প্রতিবাদ করতে পারেনি। প্রকাশ্যে দিবালোকে এলাকায় ফেরী করে মাদক বিক্রি করে আসছিল নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের একটি অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা। যার মধ্যে একজন কাউন্সিলরও রয়েছেন এই মাদক বিক্রয়ের সিন্ডিকেটে।

বন্দরের মানুষ জানিয়েছেন, বন্দর উপজেলায় কদমরসূল পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়াও রয়েছে আরও ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ। যার মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের ভিতরের এলাকাতেই ব্যাপক হারে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে আসছিল একটি ক্ষমতাধর মাদক সিন্ডিকেট। বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে হয়ে ওঠেছিল মাদকের স্পট। আবার কলাগাছিয়া, মদনপুর ও মুছাপুর এলাকায়ও ব্যাপক হারে মাদক বিক্রি চলে।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করলে তারা কারো নাম মুখে আনতে সাহস পায়নি। তারা বলছেন, মহানগর আওয়ামীলীগের একটি সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা বন্দরের প্রতিটি এলাকায় মাদকের হাট বাজার বসিয়েছেন। ওই দুই নেতার বিষয়ে পুলিশের কাছে বিস্তর তথ্য আছে বলেও তারা দাবি করেন এলাকাবাসী। কিন্তু পুলিশ তাদের এতদিন ধরেনি। এখন তারা দাবি করছেন বর্তমান পুলিশ সুপার ওই দুই মাদক সিন্ডিকেটের মুল হোতা সরকার দলের দুইজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই বন্দর হবে মাদকমুক্ত।