ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র মানব জীবনকে পরমাত্মার কৃপা বলে মনে করতেন: সিমু

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

সৎসঙ্গের প্রাণপুরুষ পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৫ তম আবির্ভাব বর্ষ স্মরণ মহোৎসব উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর নতুন পালপাড়া সৎসঙ্গ শ্রীমন্দিরে ১৬ জানুয়ারী থেকে সাত দিনব্যাপী মহতি ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্জাদার পালিত হচ্ছে।

অদ্য আয়োজিত মহতি ধর্মসভায় আনন্দধামের নেতৃবৃন্দ আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর নেতৃত্বে যোগদান করেন। এ সময় তার সাথে আনন্দধামের কেন্দ্রীয় পরিচালকবৃন্দ ছাড়াও ১৪নং ওয়ার্ড আনন্দধামের সভাপতি মোঃ খোকন গাজী ও ১৫নং ওয়ার্ড আনন্দধামের সভাপতি রেয়হান ভুইয়া ছিলেন।

এ সময় হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ গুরু ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে শ্রীশ্রী ঠাকুরের দিব্য জীবন ও বানীর আলোকে ভারত, নেপাল, আমেরিকা, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ধর্মীয় আলোচকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আনন্দধামের নেতৃবৃন্দদের স্বাগত জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা সৎসঙ্গের সাধারন সম্পাদক ও আনন্দধামের যুগ্ম মহাসচিব শ্রী বিশ্বজিৎ সাহা ও আনন্দধামের পরিচালক, আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী শ্রী বিপ্লব ঘোষ মনা।

আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র বলতেন, ভগবান সবার কাছে সমান। ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র এমনি পরম ভক্ত ছিলেন যে, তার সারা জীবনের সকল কর্ম, বলা, চলা সকল কিছুইকেই তিনি ভগবানের কৃপা বলে মনে করতেন। তিনি বলতেন ভগবানকে আমরা ততখানি পাই যতখানি ভক্তি অনুরাগে তার দিকে অগ্রসর হই। আলোর কাছে যত যাব তত আলো অনুভব করব ও তাপ পাব।

হাসিনা রহমান সিমু আরো বলেন, পরম প্রেমময় অনুকুল চন্দ্র ঠাকুর জীবনের দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি দিতেই মানুষকে পথ বাতলেছেন। তিনি সকলকে বুঝাতেন ভগবানের সাথে আমাদের সম্পর্ক কতটুকু। অনুকুল ঠাকুর মানুষকে পরমাত্মার প্রেমে আবদ্ধ করেছিলেন। তিনি মানুষকে ভালবাসার রাস্তা দেখিয়েছেন। তিনি ব্রহ্মকে সঠিক অর্থেই উপলব্ধি করেছিলেন। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সৎসঙ্গ।

ধর্মসভায় জেলা সৎসঙ্গের পক্ষ থেকে হাসিনা রহমান সিমুকে অনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রের ভক্তবৃন্দ ছাড়াও এ সময় হিন্দু ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ গুরু ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।