সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
রাজপথের তৃণমুল থেকে ওঠে সাখাওয়াত হোসেন খান এখন পরিপূর্ণ একজন রাজনীতিক। ওয়ান এলিভেনের মত বৈরী সময়েও নারায়ণগঞ্জের কথিত বড় বড় নেতারা যখন বিএনপির জিয়া পরিবারকে মাইনাস ফর্মূলায় সংস্কারবাদীদের দলে, কেউবা নিজেদের আত্মগোপনে নিয়েছিলেন, বিএনপির হাল ধরার মত কেউ ছিলোনা, ঠিক সেই সময় সাখাওয়াত হোসেন খানের মত নেতারা বিএনপির রাজনীতি করেছেন। দলের পক্ষে সভা সমাবেশ লিফলেট বিতরণ ও স্মারকলিপি প্রদান কিংবা বিএনপির পক্ষে গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান, এসব কাজগুলো করে গেছেন সাখাওয়াত হোসেন খান।
সেই সাখাওয়াত হোসেন খান ২০১৪ সালে সাত খুনের মামলায় প্রভাবশালী প্রতাপশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের জীবন বাজি রেখে সাত খুনের হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোচিত হয়ে ওঠেন। কঠিন পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিএনপির শীর্ষ তিন নেতার প্রকাশ্য বিরোধীতার পরেও ৯৬ হাজার ভোট পান তিনি।
এর আগেও সাখাওয়াতকে টেনে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিলো নিজ দলের নেতাদের পক্ষ থেকে। যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার পরেও জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে তাকে দলীয় সমর্থন দেয়া হয়নি। তখন আইনজীবীদের সমর্থনে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হোন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়েননি তিনি। সেই সাখাওয়াত হোসেন খানকে গত সেপ্টেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক পদে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তার যোগ্য সারথি হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু। ওয়ান এলিভেনের সময়েও সাখাওয়াত-টিপু জুটি বেধে রাজনীতি করেছেন দলের কঠিন সময়ে।টিপুকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটি গঠনের প্রায় ৬ মাস হতে চললো। এরি মাঝে দুজনেই নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন রাজপথে। কমিটি গঠনের পর থেকেই কেন্দ্র ঘোষিত বিএনপির একের পর এক কর্মসূচিগুলো পালন করছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। সেই সঙ্গে মহানগরীর আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। কখনো মহানগরীতে কর্মসূচি, কখনো রাজধানীর রাজপথে, কখনো কমিটি গঠনের বিষয়ে বিভিন্ন এলাকায়, নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হলে তাদের জামিন করাতে দৌড়াচ্ছেন আদালতের কাঠগড়ায়, কোনো নেতাকর্মী অসহায় অসুস্থ হলে যাচ্ছেন তাদের বাড়িতে কিংবা ছুটছেন হাসপাতালে। ১৮ ঘন্টায়ই যেনো সাখাওয়াত টিপুর রাজনীতি।