সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, রূপগঞ্জ উপজেলা ও ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি সহ মোট ৫টি কমিটির অনুমোদন করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের সময় লিখিতভাবে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মাহামুদের স্বাক্ষর সহ কমিটির অনুমোদনের নির্দেশনা থাকলেও সেটা মানা হয়নি। একই সঙ্গে জেলা বিএনপির ৯ সদস্যের কমিটির অন্য কারো সাথেই কমিটি ঘোষণার বিষয়ে কোন ধরণের পরামর্শও গ্রহণ করেনি জেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা।
মুলত কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) সংসদীয় আসন ও গিয়াসউদ্দীনের জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) সংসদীয় আসনে নিজেদের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে গিয়ে বিএনপির কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লক্ষ্যেই রাতের আধারে এসব কমিটিগুলো এই দুই নেতার অনুগতদের দিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
ভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পেছনে গিয়াস ও খোকনের পক্ষে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহামুদুর রহমানের সহযোগীতা ছিলো বিভিন্নভাবে। একইভাবে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিরোধী বলয়েরও সহযোগীতা ছিলো গিয়াসউদ্দীনের পক্ষে। ফলে আড়াইহাজারে সুমনকে এবং সোনারগাঁয়ে মান্নান বিরোধীদের পক্ষে অর্থাৎ যারা গিয়াসের হয়ে সেই ২০১৩ সাল থেকে দীর্ঘদিন যাবত সোনারগাঁয়ে কাজ করে চলেছেন তাদেরকেও সোনারগাঁয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হতে পারে জেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার মাধ্যমে।
জেলা বিএনপির ৫টি কমিটি ঘোষণার পর অনেকেই জানিয়েছেন রদবদল আসতে পারে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির কমিটিতেও। কারন এই দুটি উপজেলায় আজাদ ও মান্নানের একক কর্তৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে সুমন ও তার চাচা সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের লোকজনকে সদস্য পদেও রাখা হয়নি। নতুন কমিটি গঠনের আলোচনায় আড়াইহাজারে আজাদ অনুগামী ও সোনারগাঁয়ে মান্নান অনুগামীদের মাঝে গিয়াস ও খোকন আতংকের নাম হয়ে ওঠেছেন। সেই সঙ্গে কোনো কারনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে গিয়াসের মনোনয়ন ছিটকে গেলে, ২০১৩ সালের মত করে পদচারণায় সোনারগাঁও আসনের মনোনয়ন ছিনিয়ে নিতে পারেন সেই চেষ্টাও থাকবে গিয়াসের। যদিও সেই সময় সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন ছিলো।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির অধীনস্থ পাঁচটি ইউনিট কমিটি ঘোষণা করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। জেলার অন্তর্গত ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জ উপজেলা ও রূপগঞ্জের কাঞ্চন ও তারাব পৌরসভা বিএনপির কমিটি অনুমোদন করা হয়।
তবে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সম্মেলনের মাধ্যমে আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুটি কমিটিই পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জে আহ্বায়ক কমিটি ছিলো। যে কারনে ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। আর যদি আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ের পূর্ণাঙ্গকে মেয়াদ থাকাবস্থায় জেলা বিএনপি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটা তাদের জন্য হবে ভুল সিদ্ধান্ত।