আ’লীগকে বিএনপি নেত্রী শিরিন সুলতানা: খালেদা জিয়ার হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চাও!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেছেন, যারা ১০ টাকা কেজি চালের কথা বলেছিল আজ তাদের হাতেই গনতন্ত্রের কবর রচনা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। আজ চালের কেজি ৮০ টাকা। আজ তেলের দাম কত? গরুর মাংস এখন আড়াইশো গ্রাম কিনে খেতে হয়। বাংলাদেশে এমন দৃশ্য কখনও দেখা যায়নি। এই হচ্ছে বাংলাদেশের চিত্র। এই অবৈধ সরকার বাংলাদেশের মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আজ তারা জনগণের মতামতের কোন তোয়াক্কা করছে না। আওয়ামী লীগ যদি বাঁচতে চাও বাংলাদেশে থাকতে চাও, এখনও সময় আছে। বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যাও হাতে পায়ে ধরে পারমিশন নাও। যদি বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমা করে তাহলে থাকলে থাকতেও পারো।

 

 

বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ ও শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া’র নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (১১ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

তিনি আরো বলেন, এই সরকারের আমলে আমাদের ছয়’শ নেতাকর্মী গুম হয়েছে। আমাদের চল্লিশ লক্ষ নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক আছে। মনে হয় তাকে বিএনপি বিষয়ক কোন পদে রাখা হয়েছে। শুধু বলে বিএনপির কোমরে জোর নেই, সমাবেশ করতে পারে না। বিএনপির কোমরে শক্তি আছে কীনা এটা কী ওবায়দুল কাদের থেকে জানতে হবে? বিএনপির কোমরে শক্তি নেই তাহলে এত ভয় কেন।

তিনি বলেন, যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করে দিয়েছে। যারা চোর দুর্নীতিবাজ। যারা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে তাদের কী আমরা ছাড়বো? আমরা ছাড়লেও সাধারণ জনগণ তাদের ছাড়বে না।
সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ন ভাবে পালিত হয়েছে। অথচ সরকার দেশকে অশান্ত রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায়। বিএনপির জনগণের পক্ষের কর্মসূচির বিরুদ্ধে ওরা শান্তির সমাবেশের নামে দেশকে অশান্ত করার কর্মসূচি দেয়।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা এ সরকারের কোন পাতা ফাঁদে পা দেবে না। আমরা চাই সরকার অবিলম্বে ১০ দফা মেনে নেক। সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মাঠে নেমেছি। জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। অবিলম্বে এদেশের মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে। নাহলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন, দেশের মানুষ আপনাদের টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।

এদিকে কেন্দ্র ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে দুপুর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন সুসজ্জিত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই শ্লোগানে শ্লোগানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইফসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান দুলাল, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব অ্যাডভোককটে এইচ এম আনোয়ার প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক আলামিন প্রধান, বন্দর থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, সদস্য সচিব নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, শাহেদ আহমেদ, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ অপু, বিএনপি নেতা মহি উদ্দিন শিশির, হারুন উর রশিদ লিটন, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, নাসির উদ্দিন টিপু, সোহেল খান বাবু, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মিয়াজী, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।