আড়াইহাজারে সম্পত্তির ভোগদখল নিয়ে ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে এক ভাইয়ের অভিযোগ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আপন ভাইদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন করেছেন মোঃ জনু মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী ও তার পরিবার। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় আড়াইহাজার থানা প্রেসক্লাবে এসে তারা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মোঃ জনু মিয়া ও তার স্ত্রী মিনারা বেগম জানান, জনু মিয়া দীর্ঘ ২৩ বছর সৌদী প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার অপরাপর ভাই আরফান, ইসলাম, রফিজউদ্দিন, শফিজউদ্দিন ও হাবিবুর রহমান অপর একটি পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে একজনকে খুন করে এবং সেই খুনের মামলা আপোষ করতে গিয়ে জনু মিয়ার ১০ শতাংশ জমি বাদী পক্ষকে দিয়ে দেয়। যদিও তিনি ওই মামলার আসামী ছিলেন না। কিন্তু যে সম্পত্তি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল সেই সম্পত্তি পাওয়ার পর এর ভাগও তাকে দিচ্ছেন না।

এরপর তিনি দেশে আসার পর তার মায়ের কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখা ৫৭ শতাংশ নাল জমিও তার ভাইয়েরা বলপূর্বক জবরদখল করে নেয়। তা ছাড়া জনু মিয়ার মালিকানাধীন ৪ শতাংশ সম্পত্তির উপর নির্মিত একটি মার্কেট বলপূর্বক জবরদখল করার চেষ্টা করছে তার ভাইয়েরা।

সর্বশেষ গত ৯ মার্চ দুপুরে ছয় ভাইয়ের সম্মিলিত খরচে চাষকৃত পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে বাকী ৫ ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হয়। ওই মাছের ভাগ থেকে জনু মিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তার ভাইয়েরা কথায় কথায় জনু মিয়া ও তার স্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং বেশ কয়েকবার মারপিট ও করেছে। এ সমস্ত অপরাধমূলক কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে জনু মিয়া আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তার ভাইয়েরা পেশি শক্তির বলে দম্ভের সাথে পৌরসভা অফিসের দেয়া পর পর তিনটি নোটিশ প্রত্যাখ্যান করে। পরে তিনি সোমবার সকল ঘটনা উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

জনু মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আমার দুই ছেলেকে টাকা পয়সা খরচ করে সৌদী আরবে পাঠান। কিন্তু আমার দেবরেরা আমার ছেলেদেরকে ভুল বুঝিয়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন রেখেছে এবং আমার ছেলেদের বিদেশের রোজগারকৃত সকল টাকা পয়সা ফুসলিয়ে আত্মসাৎ করছে। জনু মিয়া ভাইদের দ্বারা প্রাণ নাশের হুমকীতে স্বপরিবারে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নূর এ আলম সিদ্দকী জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।