সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে আনন্দধামের উদ্যোগে ১২ই রমজান নারায়ণগঞ্জের কলেজ রোডে কাসেম টাওয়ারে “যুব সমাজের অবক্ষয় রোধে মাহে রমজানের তাৎপর্য’’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আনন্দধাম ১৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম আল আমিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত জনাকীর্ণ এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু। আলোচনা অংশগ্রহণ করেন আনন্দধামের অন্যতম উপদেষ্টা জেলা আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন ও করোনাবীর খ্যাত নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম ও আজিজুল ইসলাম বাবু, ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি, বাবু শ্যামল দত্ত, যুগ্ম মহাসচিব বাবু বিশ্বজিৎ সাহা, সাংগঠনিক পরিচালক অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ জসিম উদ্দিন, গলাচিপা মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক এনামুল হক খোকা।
পলাশ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ১৩নং ওয়ার্ড আনন্দধামের সহ সভাপতি মো: ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ রিপন,শাহীন রেজা,ইলিয়াস মামুন, মো: রহমতউল্লাহ, আবু সাঈদ শাহীন,বাবু শিকদার,তুলি পাঠান,মমতাজ, নিপা খন্দকার সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপট বর্ননা করে মাহে রমজানের সংযম সাধনার মাধ্যমে অর্জিত নৈতিক মনোবলকে কাজে লাগিয়ে সুষ্ঠু ও নিরাপদ সমাজ গঠনে নাগরিকদের সম্পৃক্ত হতে আহবান জানান। তিনি বলেন মাদকতার কড়ালগ্রাসে অবক্ষয়মান সামাজিক পতন রোধে রমজানের সংযম সাধনা ঢাল স্বরুপ।
আনন্দধামের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, আনন্দধাম এমন একটি সামাজিক প্লাটফর্ম যেখান থেকে সমাজের নাগরিকরা নাগরিক হিসেবে তাদের দায়িত্ব বোধ সম্পর্কে অভিহিত হতে পারে।
১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, আনন্দধাম সংগঠন যে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাজের নাগরিকদের মধ্যে তাদের নাগরিক দায়িত্ব বোধ ও রাস্ট্রীয় চেতনার উম্মেশ জাগ্রত করে সুষ্ঠু সমাজ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে, তা আমাদের জন্যে অণুস্মরনীয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্যে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয় ও অভ্যাগতদের ইফতারে আপ্যায়িত করা হয়।