সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার চাঞ্চল্যকর ‘আবজাল প্রধান’ হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। ১৫ এপ্রিল শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সহকারী পরিচালক এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
তিনি জানান, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল ১৫ এপ্রি ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন বাংলাবাজার কাশীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর “আবজাল প্রধান’’ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় মূল আসামী কাউসার মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, ভিকটিম আবজাল প্রধান ফতুল্লা থানাধীন পশ্চিম দেওভোগ বাংলা বাজার এলাকায় সিমেন্টের ব্যবসা করতো। গত ৬ এপ্রিল সাড়ে ৮টায় ভিকটিম আবজাল প্রধান বাসা থেকে বের হয়ে ফতুল্লা থানাধীন দেওভোগ মাদ্রাসা মার্কেটের পিছনে নিজাম হাজীর বাড়ীর পাশে হাসেমবাগ যাওয়ার রাস্তায় পৌছালে পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে গ্রেপ্তারকৃত আসামী কাউসার মুন্সিসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিম আবজাল প্রধান’কে রামদা, চাপাতি, ছোরা, চাকু, কেচি, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। ঘটনার এক পর্যায়ে ভিকটিম অজ্ঞাতনামা একটি অটোযোগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে চলে আসে। ভিকটিমের পিতা ও স্ত্রী খবর পেয়ে ভিকটিমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আসে এবং ভিকটিমকে দ্রুত জেনারেল হাসপাতাল (ভিক্টোরিয়া) নারায়ণগঞ্জ এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত বলে ঘোষনা করে। এ পাশবিক ও নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা মোঃ এবাদুল হোসেন প্রধান বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-২৪, তারিখ ৬ এপ্রিল ২০২৩। উক্ত হত্যাকান্ডের পর হতে এজাহারনামীয় পলাতক আসামী কাউসার মুন্সি সহ তার অন্যান্য সহযোগীরা কৌশলে আত্মগোপন করে।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং আসামী কাউসার মুন্সিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।