সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের ৪ বারের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের ৯ম মৃত্যুবাষির্কী পালনে ছেলে আলহাজ্ব আজমেরী ওসমান বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় কবর জিয়ারত করেন। এসময় আজমেরী ওসমান পরিবারের সদস্য সহ নেতাকর্মীদের নিয়ে নাসিম ওসমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আর নারায়ণগঞ্জে অর্ধ শতাধিক স্পটে নাসিম ওসমানের জন্য দোয়া মাহফিল ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।
৩০ এপ্রিল রবিবার বিকেল ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার মাসদাইরস্থ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে নাসিম ওসমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন সহ তার আত্মার মাগফিরাত কামনা দোয়া করেন।
এদিকে নাসিম ওসমানের মৃত্যুবাষির্কী পালনে কবরস্থানে কবর জিয়ারতের মাধ্যমে শত শত নেতাকর্মী নিয়ে যেসকল এলাকায় নাসিম ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি বহর নিয়ে ছুটে যায়। আজমেরী ওসমান তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এবং বন্দর বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
আর আজমেরী ওসমানের গাড়ি বহরটি যখন মাসদাইর কবরস্থান থেকে কবর জিয়ারত শেষ করে গাড়ি নিয়ে বের তার পিছে ছুটে শত শত নেতাকর্মী।
নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের প্রাণের নেতা ছিলেন তাহার মৃত্যুবার্ষিকী আসলে তার প্রমান মিলে। নাসিম ওসমানের ছেলের গাড়ি বহরে শত শত নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখে তার প্রমান পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ৩০এপ্রিল ভারতের রাজধানী দিল্লীর দেরাদুন শহরে থাকা অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন তিনি। আর ১৯৫৩ সালের ৩১ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রয়াত নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের অন্যতম রাজনৈতিক ওসমান পরিবারের বড় সন্তান। তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) প্রয়াত সাংসদ এ.কে.এম শামসুজ্জোহা ও মা ভাষা সৈনিক ও রত্মগর্ভা নাগিনা জোহা। প্রয়াত এ.কে.এম সামসুজ্জোহার পাঁচ সন্তানের মধ্যে জেষ্ঠ্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নাসিম ওসমান। তিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সুইসাইড স্কোয়াডে যুদ্ধ করেছেন। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর নববিবাহিতা বধূকে রেখে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং কাদেরিয়া বাহিনীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। প্রয়াত নাসিম ওসমান ১৯৮৪ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এবং ২০০৮ ও ২০১৪ সালে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের ৩০শে এপ্রিল নাসিম ওসমান এর আকস্মিক মৃত্যুতে পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাব রাখতে গিয়ে অজোড়ে কেঁদে ছিলেন সংসদ নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই নেতা নাসিম ওসমানের মৃত্যুবাষির্কীতে নারায়ণগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।