পুলিশি লাঠিচার্জে আহত নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা মুছা ভারতে চিকিৎসাধীন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

২০১৭ সালে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত গণতন্ত্র হত্যা দিবস দাবি করে ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বের হওয়া কালো পতাকা মিছিলে পুলিশি লাঠিচার্জে গুরুত্বর আহত হয়েছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা। মাথায় রক্তাক্ত জখম হলে তার মাথায় শেলাই পড়ে এবং ঘাড়ে পুলিশের বন্দুকের নলের আঘাতের কারনে পরবর্তীতে অপারেশন করাতে হয়। কিন্তু রোগ এখনো সেরে ওঠেনি। মাথায় সেলাইয়ের কারনে সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে দশ দিন ভারতের ভেলোরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

মঞ্জরুল আলম মুছা ভারতের ভেলোরে ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল (সিএমসি ভেলোর) এ চিৎিসাধীন রয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তিনি সান নারায়ণগঞ্জকে জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসা শেষে আবারো সুস্থ্য হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে ফিরতে চান। ২০১৭ সালে গুরুত্বর আহত হলেও তিনি রাজপথ ছাড়েননি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত গণতন্ত্রের মুক্তি ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত ‍তিনি শরীরের শেষ বিন্ধু রক্ত দিয়ে হলেও রাজপথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর ডিআইটি এলাকায় পৃথক দুটি স্থানে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে মিছিল বের করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ মিছিলের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যুবদল নেতাসহ চারজনকে আটক করা হয়।

একই সময়ে ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে ছত্রঙ্গ করে দেয়। সেখানে মহানগর যুবদলের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জরুল আলম মুছা গুরুতর আহত হন। তাকে নগরীর নিতাইগঞ্জে অবস্থিত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট (ভিক্টোরিয়া) নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হয়।