কাউন্সিলর ডিস বাবুকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় দায়েরকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলায় জেলা কারাগারের গেটের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

২৩এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার বেগম এর আদালতে ডিস বাবুর সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, রিমান্ড শুনানী শেষে আসামিকে জেল গেটের সামনে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জানাগেছে, গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ বন্দর থানায় দায়েরকৃত একটি ১০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি মামলায় ডিস বাবুকে গ্রেপ্তার করে। ওইদিনই ডিস বাবুর বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। ওই দিন আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে রিমান্ডের শুনানির জন্য ২৩ এপ্রিল দিন ধার্য্য করেন।

ডিস বাবুকে গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বন্দর থানার একটি মামলায় বাবুকে প্রেপ্তার করা হয়। মামলার বাদী মো. কাউসার। তিনি বন্দরের দক্ষিণ কলাবাগ এলাকার মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বাদী এজাহারে দাবি করেন, আসামী আব্দুল করিম বাবু (ডিস বাবু) দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা করে আসছে। বিবাদী জোরপূর্বক বন্দরে তার লোকজন দিয়ে কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা পরিচালনার চেষ্টা করছে ও বিভিন্ন জায়গায় কেবল নেটওয়ার্কের তার কেটে নিজস্ব নেটওয়ার্ক লাইন সংযোগ দেওয়ার চেষ্টা করে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের সত্ত্বাধিকারী পারভেজ আলম, সাইফুল ইসলাম শ্যামলের সাথে বাবুর দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। নেটওয়ার্কের ব্যবসার জন্য এলাকার দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দর কেবল নেটওয়ার্কের মালিকের নিকট ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

এরই জেরে গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে বন্দর থানাধীন ফরাজিকান্দা বাজারের রিতুর বাড়ির সামনের নেটওয়ার্কের মেরামত কাজ করাকালে আসামী বাবুর প্ররোচনায় সহযোগীতায় ও নির্দেশে সজিব, মো. রিতু, মো. রনি, মো. জুম্মাল, মো. নিজুম, মো. রানা সহ আরো অজ্ঞাত নামা ৪-৫জন বিবাদী লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবন্ধে পথরোধ করে এলোপাথারীভাবে মারপিট করে নগদ সাড়ে ১০ হাজার টাকা, একটি ফাইভার মেশিন যার মূল্য দেড় লাখ টাকা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও একটি মই মূলা নিয়ে যায়। এছাড়াও বাবুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।