ডেস্ক রিপোর্ট, সান নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে যুবলীগ নেতা মো: জাকির হোসেনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ভূমিদস্যুতা ও নৌ-চাঁদাবাজি বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে জেলা প্রশাসকের কাছে জনপ্রতিনিধিরা স্মারকলিপি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান-উল-ইসলামের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
জাকির হোসেন উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
স্মারকলিপি প্রদানকালে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম রেজার নেতৃত্বে সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জন প্রতিনিধিরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, একসময় মাছ বাজারে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করে সংসার নির্বাহ করত জাকির ওরফে পলিথিন জাকির। ফলে সবাই তাকে পলিথিন জাকির নামেই চেনেন।
পরে মেঘনা ঘাটে হকারির পাশাপাশি এলাকায় বালু ভরাট ও দালালি চালিয়ে যান সমান তালে। তার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে ওঠে। সম্প্রতি সোনারগাঁও রিসোর্ট সিটি নামে একটি আবাসন প্রকল্পের জমি ক্রয় ও বালু ভরাটের দায়িত্ব পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জাকির হোসেন। তার প্রভাবে স্থানীয় যুবলীগের হাত ধরে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বনে যান।
যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে জাকির হোসেন। এরপর থেকেই শুরু হয় তার দখল বানিজ্য ও দস্যুতা। সাধারণ মানুষের জমি দখল, ভূয়া দলিলে জমি বিক্রি এবং বালু ভরাটের টেন্ডারবাজি করার পর তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি।
জাকিরের সহযোগী ভাগিনা সৈকত, মিজানুর রহমান, সজীব মিয়া, শাহ আলী ও শাহীনের নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান থেকে চাঁদাবাজি, মাদককারবার নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে থাকে। এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসী কয়েক দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেও কোনো প্রতিকার পায়নি।
স্মারকলিপিতে জনপ্রতিনিধিরা আরো উল্লেখ করেন, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাকির হোসেনের নামে দুটি হত্যা ও নৌ-চাঁদাবাজিসহ প্রায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে। ২০১২ সালে রিপন হত্যা, ২০১৪ সাথে সাধন হত্যা ও ২০১৫ সালে গোলজার হত্যায় জড়িত জাকির হোসেন। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি খুন হয় জাকিরের সকল অপকর্মের সাক্ষী ভাগিনা মোহাম্মদ আলী। ভাগিনা মোহাম্মদ আলী হত্যার মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে সে।
অভিযুক্ত পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: জাকির হোসেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। জনপ্রতিনিধিরা আমার দ্বারা কোনো প্রকার ক্ষতি হয়েছে এমন কেউ বলতে পারবে না। তবে স্থানীয় একটি কোম্পানির বালু ভরাটকে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
সূত্র: নয়াদিগন্ত অনলাইন