রূপগঞ্জে স্কুলছাত্রী অপহরণ: ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিকটিম উদ্ধার ও ৩ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এক ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে র্যাব-১১। একই সঙ্গে অপহরণে জড়িত ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য জানান র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার, সিনিয়র সহকারী পরিচালক, সিনিয়র এএসপি রিজওয়ান সাইদ জিকু।

তিনি জানান, র‌্যাব-১১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ১১ মে বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল ইউপি, ৯নং ওয়ার্ড, ছোট দড়িকান্দি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে অপহৃত ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিম (১৫)কে উদ্ধারপূর্বক অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোঃ সুমন ওরফে হৃদয় ও তার সঙ্গীয় অপহরণকারী মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ শাহীন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত ভিকটিম (১৫) সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানাধীন একটি স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। ভিকটিমের সহিত অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোঃ সুমন ওরফে হৃদয় এর সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ সুমন ওরফে হৃদয় (২০) বিভিন্ন ভাবে ভিকটিমকে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ উত্যক্ত করে আসছিল।

ঘটনার এক পর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারী সকাল অনুমান সাড়ে ৭টায় ভিকটিম বাড়ি হতে স্কুলে যাওয়ার পথে অপহরণ চক্রের মূলহোতা মোঃ সুমন ওরফে হৃদয়; মোঃ আমিনুল ইসলাম এবং মোঃ শাহীন মিয়াসহ তার সঙ্গীয় অন্যান্য এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত আসামীদের সহযোগীতায় ভিকটিমকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অপহরণকারী আসামীরা ভিকটিমকে অপহরণ করে কৌশলে আত্মগোপনে ছিল। এই ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন; যার মামলা নং-১০, তারিখ-১০/০৫/২০২৩খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০।

পরবর্তীতে র‌্যাব ১১, সিপিএসসি এর একটি গোয়েন্দা টীম এই ব্যাপারে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মামলা হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারসহ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং এই মামলার অন্যান্য পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহনের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।